Site icon The News Nest

মধ্যপ্রদেশের এই ব্যক্তি স্ত্রীকে উপহার দিলেন তাজমহলের ‘‌রেপ্লিকা’‌

taj mp

ভালবেসে স্ত্রীকে সকলে কত কিছুই না উপহার দেন। গয়নাগাটি, শাড়ি, অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিংবা পছন্দসই জিনিসপত্র-সহ আরও কত কী। নিজের স্ত্রীকে ভালবেসে বাড়ি উপহার দেওয়াও নতুন কিছু নয়। তবে সেই বাড়ি যদি হয় তাজমহলের আদলে! তা যে নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী, সে বিষয়ে নতুন করে আর বলার কিছুই নেই। মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের বাসিন্দা আনন্দ চোকসেও ঠিকই একই কাজ করেছেন। তাঁর কীর্তি অবাক করেছে প্রায় সকলকেই।

যে বাড়ি তিনি তৈরি করেছেন, সেটি সম্পূর্ণভাবে তাজমহলের রেপ্লিকা বলাই ভাল। তিন বছর সময় লেগেছে বাড়িটি তৈরি করতে। পেশায় শিক্ষাবিদ আনন্দপ্রকাশ চারটি শোওয়ার ঘর বিশিষ্ট একটি বাড়ি তৈরি করেছেন৷ উপহার দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মঞ্জুষাকে৷ বাড়ি তৈরি শুরুর আগে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে আগ্রা গিয়েছিলেন৷ তাজমহলকে চাক্ষুষ দেখার জন্য৷ বিশ্বের অন্যতম সেরা এই বিস্ময়ের স্থাপত্যরীতি খুঁটিয়ে দেখেন চোকসি দম্পতি৷ ইঞ্জিনিয়াররাও ছিলেন তাঁদের সঙ্গে৷ তাজমহলের গঠনশৈলী বুঝতে পারার জন্য তাঁদেরও অনুরোধ করেন আনন্দ ও মঞ্জুষা৷

প্রথমে আনন্দপ্রকাশ ভেবেছিলেন ৮০ ফুট লম্বা বাড়ি তৈরি করবেন৷ কিন্তু অত উঁচু বাড়ির অনুমতি পাওয়া যায়নি৷ এর পরই তাজ মহলের রেপ্লিকার ইচ্ছে জন্ম নেয়৷ ইঞ্জিনিয়াররা থ্রিডি ইমেজ তৈরি করেন তাজ মহলের৷ তার পর তিন বছর ধরে বাড়িটির নির্মাণপর্ব চলে৷

আনন্দপ্রকাশের ধারণা, তাঁর এই তাজমহল-বাড়ি পর্যটকদের আগ্রহের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে৷ নির্মাণকারী ইঞ্জিনিয়ার প্রবীণ চোকসি জানিয়েছেন, ‘‘মিনার-সহ বাড়িটি বিস্তৃত ৯০ বর্গমিটার জমি জুড়ে৷ মূল কাঠামোটি তৈরি করা হয়েছে ৬০ বর্গমিটার জায়গার উপর৷ স্থাপত্যের অন্যতম আকর্ষণ গম্বুজটি ২৯ ফুট উঁচু৷ বাড়ির প্রতি তলায় আছে দু’টি করে শোওয়ার ঘর৷ এ ছাড়াও বাড়িতে আছে রান্নাঘর, লাইব্রেরি এবং মেডিটেশন রুম৷’’

বাড়ি তৈরিতে যাতে কোনও খামতি বা ত্রুটি না থাকে তার জন্য ইঞ্জিনিয়ার প্রবীণ আগ্রা ছাড়াও গিয়েছিলেন ঔরঙ্গাবাদে৷ দেখেছিলেন ‘বিবি কা মকবারা’৷ ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে এই স্থাপত্য নির্মাণ করিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী দিলরস বানু বেগমের স্মৃতিতে৷ এই স্থাপত্যেই শায়িত দিলরসের সমাধি৷ তাজমহলের সঙ্গে বিবি কা মকবরার সাদৃশ্য লক্ষণীয়৷

 

Exit mobile version