১৯ বছরের টিকটক-তারকা জড়ালেন আইনি ঝামেলায়। যৌনতা নিয়ে তাঁর একটি মন্তব্য ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মহিলাদের অ-সুরক্ষিত যৌনতা (unprotected sex)-র ফাঁদে ফেলার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন রাষ্ট্রনেতারা।
নাইম দারেচি, স্প্যানিশ টিকটকারকে ফলো করেন প্রায় ২৬ মিলিয়ান মানুষ। সম্প্রতি নাইম জানান, তিনি জীবনে কোনওদিন কন্ডোম ব্যবহার করেননি যৌন সম্পর্কের সময়। কারণ, এটা ব্যবহার করলে সেক্স করা তাঁর কাছে মুশকিলের মনে হয়। যেহেতু তাঁর কোনও সঙ্গী আজ পর্যন্ত প্রেগন্যান্ট হননি, তাই দারেচি তাঁদের বলে থাকেন, ‘relax, I’m sterile. It’s true’। অর্থাৎ, তিনি বাঁজা। তাঁর শুক্রাণু শরীরে প্রবেশ করলে সন্তান ধারণ সম্ভব নয়।
তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে ততক্ষণাৎ সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর করা মন্তব্য নিয়ে ট্রেন্ডিং হতে থাকে একাধিক টুইট। এমনকী, মিমিও শেয়ার করেন কেউ কেউ। অনেকেই তাঁকে ‘নোংরা’, ‘খারাপ মানসিকতা’র বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর এই কাজের জন্য যৌনরোগ ছড়াতে পারে বলেও মনে করেছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেনি থেকেই পড়ুয়ারা পাবে ‘কন্ডোম’! স্কুল খোলার পরই দেওয়া হবে উপহার
স্পেনের Equality Minister ইরেনে মন্তেরো জানিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যেই একজন আইনজিবি নিয়োগ করেছেন, যে গোটা ঘটনা খুঁটিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে। ‘সঙ্গীর অনুমতি ছাড়া যৌন সম্পর্কের সময় কন্ডোম খুলে ফেলা বা বীর্যপাত আইনিভাবে নিষিদ্ধ। এটাকে যৌন নির্যাতন হিসেবেই ধরা হয়। ২৬ মিলিয়ান মানুষকে এটা করতে উৎসাহিত করাও একটা অপরাধ। গোটা ঘটনার তদন্ত হবে’, জানান ইরেনে মন্তেরো। নাইম দারেচি যদি দোষি প্রমাণিত হন তাহলে তাঁর ১২ বছরের কারাবাসও হতে পারে সে দেশের নিয়ম অনুযায়ী। অনুমতি ছাড়া এভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকে ধর্ষণ হিসেবেই দেখবে আইন।
তবে, এই নিয়ে ঝামেলা শুরু হতেই নিজের মতামত থেকে সরে এসেছেন ওই টিকটক তারকা। জানিয়েছেন, ‘আমি আমার হদয় থেকে ক্ষমা চাইছি। আমি আমার করা মন্তব্য যে ভুল সেটাও স্বীকার করে নিচ্ছি। যখন এটা আমি বলেছিলাম তখন বুঝিনি কত খারাপ একটা বার্তা সবার কাছে পোঁছে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাসের মধ্যেই সঙ্গমে মত্ত! স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ায় বিপাকে ছাত্র