লকডাউনে ক্ষতি হয়েছে বিস্তর। তৃতীয় আনলক পর্যায়ে রেস্তোরাঁ খুললেও সাধ করে কতজন খেতে আসবেন সেটাও ভাবনার বিষয়। অনলাইনে গ্রাহক জুটলেও পেটপুজোর সেই উচ্ছ্বাস কমেছে মানুষের মধ্যে। ভয় বেড়েছে, আতঙ্কও ষোলোআনা। এমনটাই বক্তব্য জোধপুরের বেদিক কুইসিন রেস্তোরাঁর। গ্রাহকের নজর টানতে তাই এই রেস্তোরাঁর নতুন মেনু—মাস্ক নান আর তার সঙ্গে করোনা কারি।
‘আমাদের রেস্তোরাঁয় নিরামিষ খাবারই পাওয়া যায়। লকডাউনে বিশেষ অর্ডার আসেনি। ব্যবসাও লাভের মুখ দেখেনি। এখন রেস্তোরাঁ খুললেও মানুষ ভয়ে খেতে আসতে চাইবে না। তাই নতুন কিছু করার কথা ভেবেছি,’ বলেছেন বেদিক কুইসিনের মালিক অনীল কুমার। তাঁর বক্তব্য, নতুন রকমের রান্না দেখলে কৌতুহল বাড়বে। তাছাড়া করোনা সংক্রমণের এই সময় সচেতনতাও দরকার। নান মাস্ক মনে করাবে রাস্তায় বের হলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। আর করোনা কারি চেটেপুটে খেয়ে মন ভরবে।
আরও পড়ুন: নিরামিষ ভালোবাসেন? রাতের মেনুতে বানিয়ে নিন সয়াবিন মোগলাই কারি
https://twitter.com/GautamTrivedi_/status/1289181532456759296?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1289181532456759296%7Ctwgr%5E&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.thewall.in%2Fnews-national-jodhpur-restaurants-special-covid-curry-and-mask-naan%2F
আরও পড়ুন: তেল ছাড়াই রান্না করুন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর মাছ ও মুরগির নানা পদ, রইল রেসিপি
ঝালেঝোলে কারির মধ্যে বড় বড় করোনাভাইরাস। আসলে নিছকই কোফতা। মালাই কোফতা দিয়ে ঝাল কারি। রেস্তোরাঁর মালিক অনীল বলেছেন, ছানার কোফতা গোল গোল করে কেটে তার চারপাশে ছানারই তৈরি কাঁটার মতো অংশ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ছানার বলগুলো দেখতে হয়েছে ঠিক করোনাভাইরাসেরই মতো। এই কারি খেতে হবে নানে ডুবিয়ে। সেই নানা বানানো হয়েছে ঠিক মাস্কের মতো আকারে। আবার এমনি মাস্ক নয়, তিন স্তরের ফ্যাব্রিক মাস্কের মতো আকারেই নান তৈরি হয়েছে। নতুন এই ডিশ ভোজনবিলাসীদের মন ভরাবে বলেই আশা করা যায়।