হালফিলে বিশেষ করে টপ অ্যাঙ্গেলের ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে ড্রোন। বৈজ্ঞানিক কোনও রিসার্চ থেকে শুরু করে যে কোনও এলাকার নজরদারিতে ড্রোন অপরিহার্য। শুধু তাই নয়, সিনেমার শুটিং, প্রডাক্ট ডেলিভারি, পার্টি, এমনকী ইদানিংকালে মিটিং-মিছিলেও ড্রোনের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এবার মালয়েশিয়ার একদল বিজ্ঞানী খুবই স্মার্ট পদ্ধতিতে ড্রোনের চিত্তাকর্ষক এক রূপ দিলেন।
মালয়েশিয়ান সেই গবেষকেরা অদ্ভুত পদ্ধতির সাহায্যে পরিত্যক্ত আনারসের পাতা রূপান্তরের মাধ্যমে এমনই অসাধারণ এক উপাদান তৈরি করেছেন, যা দিয়ে অনায়াসে ড্রোনের ফ্রেমস তৈরি করেছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, সুদূরপ্রসারী ভাবনা। পাশাপাশিই তাঁরা আরও দাবি করছেন, এই ধরনের ড্রোন আদপে তৈরি হলে তার দামও যেমন কম হবে, সেই সঙ্গে বস্তুটিও শক্তিশালী এবং পরিবেশ-বান্ধব হবে।
আরও পড়ুন: গো-হত্যার কারণে ভূমিকম্প! ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের অনলাইন পরীক্ষা
এই অবিশ্বাস্য গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহম্মদ তারিক হামিদ সুলতান। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে হুলু লাঙ্গাত এলাকায় প্রচুর পরিমাণে আনারস চাষ হয়। কিন্তু অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে দিতে হয় আনারসের অনেক পাতা। তাই সেই অব্যবহৃত পাতাকে ব্যবহার করেই ড্রোন আবিষ্কার করে ফেলেছেন তারিক হামিদ সুলতান।
আনারস পাতার তন্তু হওয়ায় এই ড্রোন অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব। কোনও কারণে ড্রোনটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা মাটি চাপা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। ফলে দূষণের কোনও সম্ভাবনাই নেই।হামিদ যে ড্রোনটি বানিয়েছেন তা মাটি থেকে ১ কিলোমিটার উঁচুতে ২০ মিনিট ধরে উড়তে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতে আনারসের পাতা দিয়ে আরও বড় ড্রোন বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি এই ড্রোনে ক্যামেরা-সহ একাধিক সেনসর বসানোর পরিকল্পনাও করেছেন তিনি।
বিগত কিছু বছর ধরেই এই বিষয়ে রিসার্চ চালাচ্ছেন মহম্মদ তারিখ। রয়টার্সের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, শুধু ড্রোনই নয়, আরও নানাবিধ অ্যারোস্পেস অ্যাপ্লিকেশনেই আনারসের পাতা রূপান্তর করে একটি ফাইবারের রূপ দিয়ে এমনতর কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই প্রফেসর।
আরও পড়ুন: ধন্যি প্রেম! একই মেয়ের সঙ্গে লিভ ইন করছেন দুই প্রিয় বন্ধু