রাস্তায় ঘুম ক্লান্ত গণ্ডারের! প্রায় নিঃশব্দে যাতায়াত যানবাহনের, ভাইরাল কাজিরাঙার ভিডিয়ো

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

জলের তলায় কাজিরাঙা অভয়ারণ্য (Kaziranga National Park submerged)। তাই বাস্তু হারিয়ে এখন জনবসতিতে ঢুঁ মারছেন অরণ্যের প্রাণীকুল। এই পরিবেশে কাজিরাঙা অরণ্যের একটা হৃদয়বিদারক ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় সড়কের উপর ঘুমিয়ে রয়েছে ক্লান্ত গণ্ডারটি। সে যেখানে ঘুমাচ্ছে, তার পাশে ব্যারিকেড করে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বনকর্মীরা। সে সময় জাতীয় সড়কে থাকা যানবাহনকে ধীরে ধীরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন তাঁরা। হর্ন বাজাতেও বারণ করছেন, যাতে গণ্ডারের ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার ঘুমের যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য বনকর্মীরা যা করেছেন, সেই ভিডিয়ো কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করা হয়েছে শনিবার। তা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটাগরিকরা।

আরও পড়ুন: ধন্যি বাবুর অধ্যাবসায় !করোনা সারাতে রোজ রাম ও ডিম পোচের টোটকা এই নেতার

কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক টুইটারে সেই ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ‘জল পেরিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে ক্লান্ত এই গণ্ডার জাতীয় সড়ক-৩৭-এ ঘুুমিয়ে পড়েছে। যেহেতু  আশপাশে বসতি, তাই আমরা একে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর চেষ্টা করছি। এই কাজে আমাদের সাহায্য করেছে নগাঁও পুলিশ আর বন দফতর।’

বন্যায় পরিস্থিতি খুবই খারাপ কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক এবং টাইগার রিজার্ভের। চলতি বছর বর্ষার মরশুমে কাজিরাঙায় ৯০টি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাজিরাঙার প্রায় ৯০ শতাংশ ডুবে গিয়েছে বন্যার জলে। প্রাণ বাঁচাতে মাঝে মাঝে গণ্ডার এবং বাঘ সেখান থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে যাচ্ছে। ছবিটা একই রকম পবিতরা জাতীয় উদ্যানের ক্ষেত্রেও।

গত কয়েকমাস ধরে লাগাতার ভারী বৃষ্টি হচ্ছে অসমে। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পূর্ব ভারতের এই রাজ্য। ৩৩টি জেলার মধ্যে জলের তলায় ডুবে রয়েছে ২৬টি জেলা। নিজেদের সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন ২৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ভিটেমাটি, বাড়িঘর, চাষের জমি, গবাদি পশু—–বেঁচে থাকার ন্যূনতম সম্বলটুকুও হারিয়েছেন তাঁরা। এ যাবৎ অসমে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। শনিবার বরপেটা জেলায় ২ জন এবং দক্ষিণ সালমার জেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ১০৫ জন মৃতের মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধসে। বন্যার জল ছাড়াও ভূমিধসের জেরে ভেঙে গিয়েছে ওয়ামের অসংখ্য রাস্তাঘাট। অধিকাংশ জেলাতেই বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে অসমের প্রধান নদ ব্রহ্মপুত্র। ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, বরপেটা এবং মোরিগাঁও—-এই চার জায়গায় বন্যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন: প্রেমে সবই বৈধ! স্বামীকে ছেড়ে ১৫ বছরের ছোট সৎ ছেলেকে বিয়ে করলেন মহিলা

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest