Site icon The News Nest

‘মৃত্যুর সওদাগর’ তকমা মুছতেই নোবেল পুরস্কার আলফ্রেডের, জানুন এবছর করা জয়ী হলেন…

nobel peace prize

ডিনামাইটসহ ভয়াবহ সব মারণাস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ভাবন করেছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন অসংখ্য কারখানা। দেশে দেশে ব্যবসা করে আয় করেছিলেন লাখ লাখ ডলার। কিন্তু তার এই উদ্ভাবন একসময় লাখো-কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়। ফলে তাকে ডাকা হতে থাকে ‘মৃত্যুর সওদাগর’। বলা হতে থাকে ‘মানুষ মারার উপায় উদ্ভাবন করে ধনী হয়েছেন’ তিনি। নিজের নামের সঙ্গে এই ঘৃনা-সমালোচনা মেনে নিতে পারেননি বিশ্বখ্যাত প্রকৌশলী ও উদ্ভাবক আলফ্রেড বার্নার্ড নোবেল।

অবশেষে সেই কলঙ্ক মুছতেই জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে দান করে যান নিজের সব সম্পদ। প্রবর্তন করেন বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘নোবেল পুরস্কার’। এ ক্ষেত্রেও তিনি শতভাগ সফল হয়েছেন। আজ দুনিয়াজুড়ে মানুষ তাকে জানে ‘জ্ঞান-বিজ্ঞান আর শান্তির পৃষ্ঠপোষক’ হিসাবে। বিজ্ঞান, সাহিত্য ও অথর্নীতির মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষ অবদান বা উদ্ভাবনের জন্য প্রতি বছর অক্টোবর মাসে অল্প কিছু মানুষকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। দেওয়া হয় বিখ্যাত উপাধি ‘নোবেল বিজয়ী’। ১৯০১ সাল থেকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি-এই পাঁচটি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। পরে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতি বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়।

৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এ বছরের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা।

ডিসেম্বরে বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কারের পদক, সনদ ও অর্থ। তবে করোনা মহামারির কারণে এবার বিজয়ীরা নিজ নিজ দেশে বসেই পুরস্কার গ্রহণ করবেন।

 

Exit mobile version