মর্মান্তিক! শৌচালয়ে ‘কোয়ারেন্টাইনে’ আদিবাসী পরিবার, সিন্ধিয়াকে তোপ কংগ্রেসের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের গুনায় একটি স্কুলের শৌচাগারে করোনা সন্দেহে এক আদিবাসী পরিবারকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়। শনিবার রাজঘড় থেকে এই পরিবার গুনায় ফেরে বলে জানা যায়। স্কুলের শৌচালয়ে এই পরিবারে খাবার খাওয়ার ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয় বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।

জানা গিয়েছে, শনিবার রাজঘড় থেকে পরিবারটি গুনায় ফেরে। এরপরই দেবীপুরা গ্রামে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় স্থানীয়রা। স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়া গ্রামে ফেরা যাবে না বলে জানানো হয় তাঁদের। একটি স্কুলে তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। পরদিন স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে দেখতে পান, স্কুলের শৌচাগারে কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে পরিবারটিকে। সেখানে বসেই খাওয়াদাওয়া করছেন তাঁরা!

আরও পড়ুন: মাস্ক না পরলে মিলবে না মদ, একজন ক্রেতা কিনতে পারবেন মাত্র ২টি বোতল- জেনে নিন নতুন নিয়ম

এরপরই আসরে নামেন কংগ্রেস নেতা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। তাঁদের সরাসরি অভিযোগ, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দিকে। কমল নাথের কথায় ‘এই হল সিন্ধিয়া গড়ের সার্বিক দৃশ্য। স্কুলের শৌচাগারে দলিত পরিবারকে কোয়ারানটিন! এই অমানবিক কাজ তাঁরাই করেছেন, যারা আমাদের কাজের ভুল ধরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার হুমকি দিতেন। মানুষের কাছে তাঁরা ধরা পড়ে যাচ্ছেন।’ উল্লেখ্য, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিগত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রদেশের গুনার এই আসন থেকেই জয় লাভ করে আসছিলেন। যদিও, স্থানীয় প্রশাসন শৌচাগারে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে দেবীপুরা গ্রামে এক আদিবাসী পরিবার মধ্যপ্রদেশেরই অন্য জেলা থেকে ফিরে আসে। এরপরই স্থানীয়রা তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া গ্রামে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করে। গ্রামবাসীদের বিতর্কের মাঝে পড়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা পরিবারটিকে স্থানীয় স্কুলে রাতে থাকার পরামর্শ দেয়। এরপর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা রবিবার সকালে পরিবারটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গেলে তারা দেখেন পরিবারের প্রধান সদস্যকে স্কুলের শৌচালয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে সেখানেই বসে তিনি খাচ্ছেন। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সেই ছবি তুলে স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠিয়ে দিলে বিতর্কের সূচনা হয়। পরে সেই ছবি ভাইরালও হয়ে যায়।

তবে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তোলা ছবি ও বিতর্ককে অস্বীকার করেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের সাফাই, “আদিবাসী পরিবারের এই কর্তা স্কুলের মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন। পরে তিনি স্ত্রীয়ের খাবার থালা নিয়ে নিজেই শৌচালয়ে চলে যান। সেই সময়েই স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। এই ঘটনার সঙ্গে আমরা জড়িত নই। স্কুলের মধ্যেই পরিবারের জন্য থাকার সুব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁদের শৌচালয়ে থাকতে হবে না।”

আরও পড়ুন: লকডাউনের গ্রীষ্মে সৃজিত-মিথিলার পদ্মাপাড়ের স্মৃতিচারণ, ভাইরাল দুরন্ত গতিতে…

Gmail

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest