ওয়েব ডেস্ক: প্রথম থেকেই তাঁদের নাম ভাসছিল। সেইমতো তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় তেমন কোনও চমক দেখা গেল না। মৌসম বেনজির নূর, অর্পিতা ঘোষ, দীনেশ ত্রিবেদী ও সুব্রত বক্সীকে রাজ্যসভার প্রার্থী করল তৃণমূল। এদিন টুইটারে নিজেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের যে চার সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাঁদের কাউকেই আর এ বার টিকিট দেওয়া হল না। সব আসনেই নতুন প্রার্থী দিলেন মমতা। তবে যে চার জনকে এই দফায় রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী, তাঁরা প্রত্যেকেই আগে লোকসভায় ছিলেন। এক জন রাজ্যসভাতেও ছিলেন।২৬ মার্চ রাজ্যসভার ৫৭ আসনের জন্য নির্বাচন হবে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি আসন রয়েছে। রাজ্যের বিধানসভায় তৃণমূলের হাতে যে সংখ্যা রয়েছে, তাতে পাঁচটির মধ্যে চারটি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই চার আসনের প্রার্থীদের নামই ঘোষণা করলেন।
টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‘আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, অর্পিতা ঘোষ, মৌসম নুর, দীনেশ ত্রিবেদী এবং সুব্রত বক্সীকে তৃণমূল রাজ্যসভায় মনোনীত করতে চলেছে।’’ চার জনের মধ্যে দুই প্রার্থী যে মহিলা, সে বিষয়ে বিশেষ ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটটিতে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হ্যাশটাগ যোগ করার পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি গর্বিত যে, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমাদের প্রার্থীদের অর্ধেকই মহিলা।’’
এবার রাজ্যসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পরই শুরু হয়েছিল অঙ্ক। যে চার সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছিল তাঁদের মধ্যে কে ডি সিং ও আহমেদ হাসান ইমরানকে যে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠানো হবে না, তা স্পষ্ট ছিল। কে ডি সিংহের সঙ্গে তৃণমূলের এখন আর কোনও সম্পর্ক নেই। ইমরানের সঙ্গেও দূরত্ব অনেক বাড়িয়ে নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যোগেন চৌধুরীকেও প্রার্থী করা হবে না বলেই দলীয় সূত্রে খবর ছিল। মণীশ গুপ্তকে পাঠানোর বিষয়টি ভাবনায় থাকলেও শেষপর্যন্ত চার নতুন মুখকেই বেছে নিল তৃণমূল।
I am glad to announce that @AITCofficial will be nominating Arpita Ghosh,
Mausam Noor, Dinesh Trivedi & Subrata Bakshi to the Rajya Sabha.
As a part of my constant endeavour towards woman empowerment, I am proud that half of our nominations are women #InternationalWomensDay— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 8, 2020
এবার তৃণমূলের তিন প্রার্থীই গত লোকসভা নির্বাচনে হেরেছিলেন। ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ হারলেও রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। ফলে তাঁকে পাঠানোর ভাবনা প্রথম থেকেই ছিল তৃণমূলের অন্দরে। মৌসমও সাংসদ ছিলেন। পাশাপাশি সংখ্যালঘু মুখ হিসেবেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আলোচনায় ছিলেন অর্পিতাও।
আরও পড়ুন: নারী দিবসের শ্রদ্ধার্ঘ্য: যেসব বাংলা সিনেমায় নারীই মূল চরিত্র
হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে সুব্রত বক্সী ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোরাফেরা করছিল। তবে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার প্রাক্তন সাংসদ। বয়স ও স্বাস্থ্যজনিত কারণে গত লোকসভা ভোটে দাঁড়াননি। রাজ্যসভায় তিনি প্রার্থী হতে চাইবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ছিল দলের একাংশই। যদিও দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা একমত ছিলেন, রাজ্যসভায় পাঠানো হলে তৃণমূলের লাভ হবে। শেষপর্যন্ত তাঁকেই রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করলেন তৃণমূল সুুপ্রিমো।