ওয়েব ডেস্ক: জাতীয় সুুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভালের ওপর মোদী সরকারের ভরসা খুবই। যেকোনো সমস্যাতে কেন্দ্র বর্তমানে প্রথমেই পাঠিয়ে দেয় দোভালকে। তা নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়ে না। এবার উত্তর-পূর্বের ২২জন বিচ্ছিন্নতাবাদীকে ভারতের হাতে তুলে দিল মায়ানমার সেনা। পিছনে সেই দোভালই।
বিশেষ বিমান করে শুক্রবার এদের মনিপুর ও অসমে নিয়ে যাওয়া হয়। মায়ানমার ও ভারতের সম্পর্ক যে ক্রমশই গাঢ় হচ্ছে, এটি তার প্রমাণ বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।প্রথমে ইম্ফল হয়ে তারপর গুয়াহাটিতে যায় বিশেষ প্লেন। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই প্রথমবার ভারতের আর্জি মানল পড়শি মায়ানমার বলে জানা যাচ্ছে। ছটি সংগঠনের মোট ২২জন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে মায়ানমার সেনা। এরমধ্যে আছেন NDFB (S) এর স্বঘোষিত গৃহসচিব রাজেন ডৈমারি, UNLF-এর ক্যাপ্টেন স্যানাটোম্বা ও PREPAK (Pro)-এর লেফট্যানেন্ট পশুরাম লাইশ্রম।
আরও পড়ুন: করোনা কাঁটা, শেষ পর্যন্ত যোগীরাজ্যেও বন্ধ হয়ে গেল NPR!
দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরপূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মায়ানমার সীমান্তে লুকিয়ে থাকেন। কিন্তু মায়ানার আর্মি সক্রিয় হওয়ার পরেই ক্রমশ কমছে এদের প্রভাব। সাগাইং এলাকা থেকে মায়ানমার সেনা এই ২২জন গ্রেফতার করেছিল। দুই দেশের যৌথ অপারেশনে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাকড়াও করা হয়। অপারেশন সানশাইন নামের এই বিশেষ কার্যকলাপ হয়েছিল গত বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে। বর্ডারের একটি দিকে কড়া পাহারা রেখেছিল ভারতীয় সেনা, অন্যদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় মায়ানমার। এই সাঁড়াশি আক্রমণে ধরা পড়ে ২২জন রাঘববোয়াল।
কিন্তু তাদের ভারতে আনার জন্য অনেক কাটখড় পোড়াতে হয়েছে। প্রথমে এই নিয়ে কথা হয় যখন মায়ানমারের সেনাপ্রধান ভারতে আসেন। সেখানেই বৈঠকে ডোভাল প্রস্তাব দেন এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দেশে নিয়ে আসার। এরপর ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া এগোয়। অবশেষ অমিত শাহ ও ডোভালের নেতৃত্বে এই সব ভারত বিরোধী নেতাদের দেশে ফেরাতে পারল নয়া দিল্লি।
আরও পড়ুন: বাঁশের স্ট্রেচারে শুয়ে আহত শিশু, কাঁধে নিয়েই ১৩০০ কিমি পাড়ি শ্রমিক পরিবারের