আসছে হারপুন মিসাইল ও টর্পেডো! করোনা সংকটের মধ্যেই ভারতকে ১২০০ কোটির অস্ত্র বিক্রি আমেরিকার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়াশিংটন:  একদিকে দেশজুড়ে করোনা সংকট, লকডাউনের কারণে ধুঁকছে অর্থনীতি। তার মধ্যেই আমেরিকার থেকে ১২০০ কোটি টাকার সমরাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত। ১৫৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ভারতকে এই মারণাস্ত্র বিক্রির করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আমেরিকা।

আরও পড়ুন: করোনা-মুক্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছাড়া পেলেন হাসপাতাল থেকে

আমেরিকার থেকে হারপুন ব্লক ২ এয়ার লঞ্চ মিসাইল এবং হালকা ওজনের টরপেডো কিনতে চলেছে ভারত। সোমবার একটি নির্দেশিকা জারি করে ভারতকে এই অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে সায় দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন ধ্বংসকারী পি-৮১ যুদ্ধবিমানে অত্যাধুনিক মানের এই দুই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: গ্রেফতারির সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফাঁসি বঙ্গবন্ধুর খুনির, দেহ গ্রামে ঢুকতে দিলেন না স্থানীয়রা

জানা গিয়েছে, ১০টি এজিএম-৮৪এল হার্পুন ব্লক ২ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিটি ১২৪ কিমি দূরে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম, এবং তার দাম পড়ছে ৯.২ লাখ ডলার। ১৬টি এমকে ৫৪ অল আপ লাইটওয়েট টর্পেডো এবং সেই সঙ্গে তিনটি এমকে ৫৪ এক্সারসাইজ টর্পেডোর দাম পড়ছে ৬.৩ লাখ ডলার। পেন্টাগন-এর দাবি, হার্পুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা জলযুদ্ধে পি-৮১ যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী। সংস্থা এক বিবৃতি মারফৎ জানিয়েছে, ‘আঞ্চলিক হামলা ঠেকাতে এবং অন্তর্বর্তী নিরাপত্তা জোরদার করতে ভারত এই অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করবে। নিজস্ব সেনাবাহিনীতে এই যুদ্ধ উপকরণগুলি যুক্ত করতে ভারতের কোনও অসুবিধা হবে না।’

আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যুতে শীর্ষে! ভারত থেকে ৩৫ লাখ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পৌঁছল আমেরিকায়

জানা গিয়েছে, হার্পুন মিসাইল তৈরি করবে বোয়িং, এবং তা পি-৮১ যুদ্ধবিমানে যুক্ত করা হবে। এই বিমানের নকশা তৈরি করা হয়েছে দূরপাল্লার সাবমেরিন যুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ ছাড়াও নজরদারি, গোয়েন্দা ও প্রত্যাঘাতজনিত অভিযানের কথা মাথায় রেখে। ৩.৮৪ মিটার দীর্ঘ ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ৫০০ পাউন্ড। এর শিরোভাগে রয়েছে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম ওয়ারহেড, যা উপকূল যুদ্ধ এবং আকাশে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে খুবই কার্যকরী।

পেন্টাগনের মতে, এই চুক্তির ফলে আমেরিকা-ভারত সম্পর্ক আরও মজবুত হবে এবং সেই সূত্রে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ চিন সাগরাঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তি ও অর্থনৈতিক প্রগতি স্থাপন করতে ভারতের মতো শক্তিশালী দেশের হাত আরও শক্ত করবে।

আরও পড়ুন: মৃত্যুপুরী নিউইয়র্ক: করোনায় মৃতদের গণকবরে থরে থরে কফিন

Gmail 1

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest