ওয়েব ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে সব জেনেও চিনকে আড়াল করার অভিযোগে WHO-কে আর্থিক সাহায্য করা বন্ধ করবে আমেরিকা, সাফ জানিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজে গোটা বিষয়টির নিরপেক্ষ, স্বাধীন এবং সামগ্রিক মূল্যায়ন চেয়ে একটি প্রস্তাব জমা পড়ল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র কাছে। সোমবার থেকে জেনিভায় শুরু হওয়া হু-এর সর্বোচ্চ বার্ষিক সম্মেলন (ওয়ার্ল্ড হেল্থ অ্যাসেম্বলি)-এ প্রস্তাবটি পেশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়া। সমর্থন করেছে ভারত ছাড়াও শতাধিক দেশ। প্রস্তাবটিতে অবশ্য কোথাও চিনের নাম করা হয়নি।
সোমবার WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল তেদ্রোস আধানোম ঘেব্রেইয়েসাসকে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে আর্থিক সহায়তা বন্ধ এবং সংগঠন থেকে আমেরিকার নাম প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। টুইটারে সেই চিঠি পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চিনের উহাল শহরে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে প্রত্যক্ষ প্রমাণ-সহ একাধিক তথ্য হাতে এলেও তা জনসমক্ষে আনার কোনও চেষ্টা করেননি ঘেব্রেইয়েসাস। উলটে চিনকে আড়াল করতে বার বার অতিমারিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টায় বিশ্ববাসীকে বোকা বানিয়েছেন WHO প্রধান।
আরও পড়ুন: মসজিদে দলবদ্ধভাবে নামাজ পড়ার অনুমতি দিল ইতালি
চিঠিতে ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, ‘চিন সরকারের দেওয়া রিপোর্টের সঙ্গে অন্যান্য সূত্রে পাওয়া তথ্যের সংঘাত ঘটলেও পরিস্থিতি যাচাই করতে কোনও অনুসন্ধান করেনি WHO। উলটে তাইওয়ান সরকারের থেকে পাওয়া তথ্য গোপন করে সম্ভবত রাজনৈতিক ফায়দা লোটার উদ্দেশে বিশ্বের নজর থেকে চিনকে আড়াল করার নিরন্তর চেষ্টা করে গিয়েছেন।’
সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি চিনকে কিছুটা চাপে রাখার কৌশল নেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরি ভাবে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো কূটনৈতিক দম আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো কতিপয় দেশ ছাড়া বাকিরা কতটা দেখাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তাইওয়ানের যে তাস খেলার জন্য আমেরিকা চাপ দিচ্ছে, সেটাও শেষ পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হবে হু-এর চলতি বৈঠকে। আমেরিকার দাবি, তাইওয়ানকে হু-এর পর্যবেক্ষক হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হোক। সে ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের উৎস দেশ হিসেবে চিনকে তুলে ধরা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী ওয়াশিংটন।
ট্রাম্প স্পষ্ট হুমকি দিয়েছেন, ‘যদি WHO আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ না করে, সে ক্ষেত্রে সংস্থাকে আমেরিকার আর্থিক সাহায্য আমি সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেব। পাশাপাশি সংস্থায় আমেরিকার অন্তর্ভুক্তি বজায় থাকবে কি না, তাই নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা হবে।’
আরও পড়ুন: দায়ী চিন? করোনা সংকটের কারণ জানার প্রস্তুতি, তদন্তের দাবি ভারত-সহ ৬২ দেশের
