ওয়াশিংটন: করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে বিশ্বের দু’শোর বেশি দেশে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লক্ষ, মৃত কমপক্ষে ৫৩ হাজার মানুষ। কোভিড-১৯ মহামারী রুখতে একাধিক তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সে অর্থে কোনো ওষুধ অথবা প্রতিষেধক বাজারে আসেনি। এরই মধ্যে আমেরিকার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দাবি করল, তারা করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফল হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার জেরে হাঁড়ির হাল! বন্ধ নতুন নিয়োগ, নির্দেশিকা জারি করে জানাল নবান্ন
বিশ্ববিদ্যায়েলর স্কুল অব মেডিসিনের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইঁদুরের উপর ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে সফল হয়েছে তারা। একটি ব্রিটিশ জার্নালে (EBioMedicine) ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এমনটাও বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হওয়ার পর আপাতত মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদনের অপেক্ষা চলছে।
পিট স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক আন্দ্রিয়া গ্যামবোটো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘সার্স এবং মার্স ভাইরাস চরিত্রগত দিক থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের খুব কাছাকাছি। ওই দু’টি ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি স্পাইক নামে একটি প্রোটিনের কথা। ওই প্রোটিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।” তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি, ঠিক কোন জায়গায় আঘাত হানতে হবে।”
আরও পড়ুন: বাঙালি লাস্যময়ী কন্যা ঋতাভরী! দেখুন সুন্দরীর বাছাই ছবি…
“Our ability to rapidly develop this vaccine was a result of scientists with expertise in diverse areas of research working together with a common goal.”
Read more about Dr. Louis Falo and his team’s work on a potential #COVID19 vaccine: https://t.co/UCNXpd4dDv pic.twitter.com/OlHrnxDXnR
— University of Pittsburgh (@PittTweet) April 2, 2020
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, চিরাচরিত প্রথায় সূচ দিয়ে ওই প্রতিষেধক মানুষের শরীরে প্রয়োগের বদলে তাঁরা ত্বকের মধ্যে দিয়ে ওই প্রতিষেধক পৌঁছে দেবেন শরীরে। শর্করা এবং প্রোটিনের ৪০০টি মাইক্রো নিডল্ বা অতি সূক্ষ্ম সূচ দিয়ে তৈরি হবে ব্যান্ডেডের আকৃতির পট্টি। সেটি ত্বকে লাগানো মাত্র ওই মাইক্রো নিডলের মধ্যে দিয়ে শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়ানোর স্পাইক প্রোটিন শরীরে ঢুকবে। শর্করা এবং প্রোটিনে তৈরি অতি সূক্ষ্ম সূঁচ নিজে নিজেই মিশে যাবে শরীরে।
গবেষকদের দাবি, জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখ থেকে তাঁরা এই প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু করেন। খুব দ্রুত তাঁরা সাফল্য পেয়েছেন। এই প্রতিষেধক নিতে বিন্দুমাত্র ব্যথা লাগবে না বলেও দাবি গবেষকদের। বিশেষজ্ঞদের ধারণা মানব দেহে এই প্রতিষেধক সাফল্য পেলেও প্রায় এক বছর সময় লাগবে বাজারে আসতে। তবে গবেষকদের আশা, মার্কিন সরকার দ্রুত সবুজ সঙ্কেত দিলে আরও আগে ওই প্রতিষেধক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: এটা রাজনীতি করার সময় নয়, মোমবাতি জ্বালানোর প্রসঙ্গ এড়িয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর