ওয়েব ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিজয়রথ। শুধু তাই নয়, হোয়াইটওয়াশের মুখে পড়েছে ভারত। তারপর সাংবাদিক বৈঠকে মেজাজে হারালেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালীন কোহলির দুটি আচরণ বেশ দৃষ্টিকটু লেগেছে। প্রথমত কেন উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পর তাঁকে যেভাবে ‘সেন্ড অফ’ দিলেন সেটি একেবারেই সৌজন্যমূলক নয়। দ্বিতীয়ত, খেলা চলাকালীনই টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক দর্শকদের উদ্দেশ্যে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করেন এবং মুখে আঙুল দিয়ে তাঁকে চুপ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস চলাকালীন প্রতিটি উইকেটের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বিরাটের সেলিব্রেশনের ধরন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
সাংবাদিক সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “বিরাট, আউট হওয়ার পর কেন উইলিয়ামসনের প্রতি আচরণ নিয়ে কী বলবেন? ভারতের অধিনায়ক হিসেবে আপনার কি আরও ভাল উদাহরণ স্থাপন করা উচিত নয়?” জবাবে কোহালি পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আপনার কী মনে হয়?” সেই সাংবাদিক বলে ওঠেন, “আমি তো আপনাকে প্রশ্ন করেছি।” বিরাট ফের বলেন, “আমি আপনাকে এর উত্তর দিতে বলছি।” সাংবাদিক তখন বলেন, “আরও ভাল উদাহরণ রাখা উচিত আপনার।” কোহালি তখন বলেন, “আপনাকে বের করতে হবে ঠিক কী ঘটেছিল। আরও ভাল প্রশ্ন নিয়ে আসা উচিত ছিল আপনার। আপনি যা ঘটেছিল তার অর্ধেক প্রশ্ন বা অর্ধেক খবর নিয়ে এখানে আসতে পারেন না। আর আপনি যদি বিতর্ক তৈরি করতে চান, তবে এটা তার উপযুক্ত জায়গা নয়। আমি এটা নিয়ে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলেছি। যা ঘটেছে, তা নিয়ে তার কোনও সমস্যা নেই। ধন্যবাদ।”
এর আগেও সংবাদিক সম্মেলনে কোহালি মেজাজ হারিয়েছেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ হেরে যাওয়ার পরও এক সাংবাদিকের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ওয়েলিংটন টেস্টে পরাজয়ের পরও চারপাশের সমালোচনার মধ্যে অচঞ্চল থাকার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
মেজাজ হারালও কোহলি স্বীকার করে নেন, তাঁর ছেলেরা নিউজিল্যান্ডে ব্যর্থ হয়েছেন। সেজন্য একা ঋষভ পন্থের ঘাড়ে বন্দুক রাখতে চান না তিনি। ‘প্রতিভাবান’ ব্যাটসম্যান হিসেবে ঋদ্ধিমান সাহার পরিবর্তে দুটি টেস্টে পন্থকে খেলানো হয়। সেই সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচনার মুখে পড়ে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর সিরিজেও ভারতকে ভরসা জোগাতে পারেননি। চার ইনিংসে তাঁর রান সাকুল্যে ৬০। যেখানে বিপদের মুখে দলকে উদ্ধার করার সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। কিন্তু এই ব্যর্থতার জন্য পন্থকে আলাদাভাবে দায়ী করেননি কোহলি।