মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে বাংলায় এলেন জয়া বচ্চন। আজ, রবিবার সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছেন তিনি। সোমবার থেকে ‘বাংলার মেয়ে’-র হয়ে নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে নামবেন ‘ধন্যি মেয়ে’।
রবিবার জয়াকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান তৃণমূল সাংসদ ও সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন, রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। গোলাপি ওড়না আর হালকা রঙের চুরিদারে জয়াকে তৃণমূলের প্রমীলা বাহিনী একরকম ‘এসকর্ট’ করেই নিয়ে এল বিমানবন্দরের বাইরে। দেখা গেল জয়ার মাথা ভর্তি কুঁচনো গাঁদাফুল। তবে ঝেড়ে ফেললেন না। ওড়নাটা ঠিক করে স্বচ্ছন্দে ভিড় এড়িয়ে চলে এলেন বাইরে।
এক-দু’দিন নয়। টানা ৪ দিন তিনি কলকাতায় থাকবেন তৃণমূলের হয় প্রচার করতে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ৫-৮ এপ্রিল তিনি কলকাতায় থাকবেন এবং তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবেন। ৮ এপ্রিল মুম্বই ফিরে যাবেন তিনি।আগামিকাল, অর্থাৎ সোমবার থেকে প্রচার শুরু করবেন তিনি। প্রথম প্রচার করবেন টলিপাড়া টালিগঞ্জে। সেখানে অরূপ বিশ্বাসের হয়ে প্রচার সারবেন অমিতাভ জায়া। বিকেল ৫ টা থেকে সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত করবেন প্রচার। এরপর আরও বেশ কয়েকটি প্রচার সভায় তিনি অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চেও তিনি হাজির থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: ‘পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন’, মমতার ভিডিয়ো প্রসঙ্গে বিজেপিকে বিঁধলেন কুণাল
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ৬ এবং ৭ এপ্রিল মোট ৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করবেন জয়া বচ্চন। যেহেতু তিনিও জন্মসূত্রে বাঙালি, সে কারণে তাঁকে এনে তৃণমূল একপ্রকার সেই বাঙালি আবেগকেই উস্কে দিতে চাইছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই ঘোষণার পাশাপাশি তৃণমূল এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়, তাই বাংলার মেয়েই বাংলার মেয়ের জন্য প্রচার করতে আসছেন।”
সমাজবাদী পার্টির (SP) সঙ্গে জয়া ভাদুড়ির সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি গত চারবার দলের রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হয়েছেন। এদিকে, মুলায়ম-অখিলেশের পার্টি এবারের নির্বাচনে তৃণমূলকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। এর আগে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সভা চলাকালীন দলের প্রতিনিধি হিসেবে কিরণময় নন্দকে পাঠিয়েছিলেন অখিলেশ। এবার জয়া এলেন তৃণমূলের হয়ে প্রচারে। সূত্রের খবর, পুরোপুরি তৃণমূলের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
জয়া মূলত কলকাতারই বাসিন্দা। জয়া ভাদুড়ি থেকে জয়া বচ্চন – এটুকু পরিচয় বদল ছাড়া বঙ্গকন্যা জয়ার তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। পাকাপাকিভাবে মুম্বইবাসী হলেও তাঁর সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ ছিল, আছেও। বেশ কয়েকবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে অমিতাভ-জয়া এসেছেন শহরে। ‘কলকাতার মেয়ে-জামাই’য়ের সঙ্গে মমতার সম্পর্কও বেশ ভাল।
আরও পড়ুন: কনডোমের দোকান খুলবেন সায়নী; আক্রমণ অগ্নিমিত্রার, ‘নিম্নমান’; পাল্টা একহাত সায়নীর