Site icon The News Nest

চিনা আগ্রাসনের প্রতিবাদ, কলকাতার চিনা মহল্লায় উঠল ‘ভারত মাতা কী জয়’

ওয়েব ডেস্ক: দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে গিয়ে বহুবার বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর যে কাণ্ড ঘটেছিল তার লজ্জা আজও ভোলার নয়। এখন আবার দেশপ্রমের প্রদর্শনের হিড়িক। ফলে আতঙ্কে ছিল কলকাতার চায়না টাউন।

 ‘জিনা ইয়াহাঁ, মরনা ইয়াহাঁ’ তেরঙ্গা হাতে ভারত মাতার নামে জয়ধ্বনি দিতে দিতেই এগিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে ‘মেরা নাম জোকার’-এর সেই বিখ্যাত লাইন গেয়ে শোনালেন চায়না টাউনের এক প্রবীণ বাসিন্দা।

আরও পড়ুন : ঝড়ের গতিতে করোনামুক্তির দিকে এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, এক দিনে সুস্থ হয়ে উঠলেন ৫৬২ জন

তাঁরা আদতে চিনা বংশোদ্ভুত। কলকাতায় তাঁদের বহু যুগের বাস। খাদ্যাভ্যাস, রুচি, পোশাক থেকে ভাষা সবই বাঙালিদের মতোই। শনিবার সকালে কলকাতার চায়না টাউনের সামনে ভারত মাতার নামে জয়ধ্বনি দিয়ে চিনা আগ্রাসনের নিন্দা করলেন কলকাতার চিনা-মহল্লার বাসিন্দারা। তাঁদের আর্জি, ‘আমরাও ভারতীয় নাগরিক। আমাদের দয়া করে গালাগালি দিও না। ভুল বুঝো না।’

শনিবার বিকেলে ট্যাংরার চিনা মহল্লার সংলগ্ন গেটের সামনে ভারতীয় সেনাকে সমর্থন জানালেন তাঁরা।কারোর হাতে পোস্টার ছিল ‘উই আর ইন্ডিয়ান’, কারোর হাতে আবার ছিল ‘উই স্ট্যান্ড ইন্ডিয়ান আর্মি’ পোস্টার। কারোর হাতে পোস্টার ছিল ‘উই আর ইন্ডিয়ান’, কারোর হাতে আবার ছিল ‘উই স্ট্যান্ড ইন্ডিয়ান আর্মি’ পোস্টার। প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিলও করা হয়। স্লোগান ওঠে ‘ভারত মাতা কী জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।

এ দিন শহরের চিনা নাগরিকদের এ ভাবে সামিল করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান ও তাঁর ছেলে ফৈয়াজ খান। কলকাতায় যে সব চিনা পরিবার রয়েছে, তাঁদের প্রতি যেন কোনও বিরূপ মন্তব্য না-করা হয় সেটাই ছিল এ দিনের জমায়েতের অন্যতম লক্ষ্য।

মিছিলে এক বৃদ্ধ বলেন, ‘এখানেই জন্মেছি, এখানেই মরব, এই (দেশকে) ছেড়ে কোথায় যাব?কলকাতায় আপাতত ১,০০০-এর বেশি চিনা বংশোদ্ভূত মানুষ থাকেন। অধিকাংশেরই জন্ম ভারতে। তাঁদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মানুষ হক্কা ভাষায় কথা বলেন। যে ভাষা দক্ষিণ চিনে প্রচলিত। বাকিরা ক্যানটনিজ ভাষায় কথা বলেন।

আরও পড়ুন : বাড়িতে বসে ৪ মিনিটে খুলুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখার নেই ঝঞ্ঝাট

Exit mobile version