বছরে দু’টি কিস্তিতে ১০ হাজার, কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ভাতা বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে ভোট-পর্বে দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতিই একে একে পূরণ করতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একের পর এক মাস্টার স্ট্রোক দিয়েই সেই ধারা অব্যাহত রাখছেন মমতা। এবার কৃষকদের উদ্দেশে দেওয়া কথাও রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একলাফে দ্বিগুন বৃদ্ধি করা হল ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের (Krishak Bandhu Scheme) ভাতা। আগে এই প্রকল্পে বার্ষিক ভাতা ছিল ৫ হাজার টাকা। তা বাড়িয়ে করা হল ১০ হাজার টাকা করা হল। বৃহস্পতিবার নবান্নে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ থেকেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাবেন কৃষকরা।

আজ নবান্নে তিনি ঘোষণা করেন, একর প্রতি জমিতে যেসব কৃষক পাঁচ হাজার টাকা করে পান, তাঁরা এবার থেকে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন। ন্যূনতম ৪ হাজার টাকা করে পাওয়া যাবে। আমাদের ৬০ লক্ষ কৃষকবন্ধু আছেন। আগে তাঁরা ৫ হাজার টাকা এবং ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করে পেতেন। আমাদের এই প্রকল্পে খেতমজুর ও বর্গাদাররাও রয়েছেন। এবার এক একর জমিতে বছরের দুবারে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া খেতমজুর ও বর্গাদার যাঁদের হয়ত এক কাটা, দুকাটা করে জমি, তাঁরা ৪ হাজার টাকা করে পাবেন। এর পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সবাইকে টাকা দিচ্ছে না এবং কম দিচ্ছে। তাছাড়া খেতমজুর, বর্গাদার কেউ নেই।

আরও পড়ুন:  WB Lockdown: বাস, লোকাল ট্রেন, মেট্রো বন্ধই, ১ জুলাই পর্যন্ত কিছু ছাড় দিয়ে রাজ্যে বিধিনিষেধ

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সারা রাজ্যজুড়ে বহু কৃষকের হাতে আজ টাকা তুলে দেওয়া হবে। বাকিরাও আস্তে আস্তে পেয়ে যাবেন। এই টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের অনুরোধ করব। এছাড়া কৃষকবন্ধু প্রকল্পে কোনও কৃষক মারা গেলে আমরা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিই। এখনও পর্যন্ত আমরা প্রায় ৬২ লক্ষ কৃষক, বর্গাদার, ভাগচাষিদের এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে এসেছি। ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়তা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। ২৮ হাজার কৃষক পরিবারকে ডেথ বেনিফিট দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের আয় তিন গুণের বেশি হয়ে গিয়েছে।

পাশাপাশি আজ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে নয়া দিল্লির সীমানায় চলা কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গও। কেন্দ্রকে বিঁধে মমতা বলেন, ‘‘দিল্লি সীমান্তে গত ৬ মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন চলছে, তাও কেন্দ্রের সে বিষয়ে কোনও ভ্রূক্ষেপই নেই। কেন্দ্রের কৃষক প্রকল্পে টাকা পান না চাষিরা। বাংলাই ব্যতিক্রম। এখানে কৃষকদের আয় তিনগুণ বেড়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ভাতা বৃদ্ধিতে রাজ্যের অন্তত ৬০ লক্ষ চাষি উপকৃত হবেন। শুধু চাষিরাই নন, অন্তত ৬২ লক্ষ ক্ষেতমজুর ও বর্গাদার এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন।’’ আগেই রাজ্যের কৃষক প্রকল্পের আওতায় আসতে গেলে জমির নথি দেখাতে হত চাষিদের। বৃহস্পতিবার মমতা জানান, ‘‘এখন আর জমির নথি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না। হলফনামা পেশ করলেই হয়।’’

আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে ভাসছে বাংলা! আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest