সোনারপুরের রাসায়নিকের কারখানায় আগুন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। প্রায় তিনঘণ্টা কেটে গিয়েছে, তবুও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। রাতভর বৃষ্টিতে বানভাসি শহর। সকালেও অব্যাহত বৃষ্টি। তারমধ্যেই ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে দ্রুত ছড়িয়েছে আগুন। দমকল যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা।
কারবালা মাঠের ঢিল ছোড়া দূরত্বে ওই কারখানাটিতে আগুন লাগে। মূলত জুতোর আঠা তৈরি হত ওই কারখানায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভোর সাড়ে চারটে আচমকাই বাজ পড়ে। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর সাড়ে চারটে। কারখানার শেড দিয়ে কালো ধোঁয়া বেরোতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ঢেকে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। স্থানীয়রাই প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন।
এদিকে, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দমকলের গাড়ি এলাকায় ঢুকতে সমস্যা হয়। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। আশেপাশে আরও বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। আরও একটি কারখানা থাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকায়। তাছাড়াও ওই এলাকাও যথেষ্ট ঘিঞ্জি জনবসতিপূর্ণ। ফলে বসত বাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার ভয় থাকে।
রাতভর বৃষ্টিতে ব্যাহত হয় আগুন নেভানোর কাজও। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের আরও একটি ইঞ্জিন। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। তবে কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাজ পড়ার পরই ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে বাজ পড়ার থেকেই আগুন নাকি শর্টসার্কিটের জেরে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছেন দমকলকর্মীরা। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “ভোরে তখন সবাই ঘুমোচ্ছিল। সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে এমনিতেই। ভোরে এত জোরে বাজ পড়ল, যে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। দেখি, কারখানা দিয়ে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়া ঢেকে যায় গোটা এলাকা। দমকলে খবর দিই। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার বড় ভয় ছিল।”