ভরা কোটালের সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্যে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ ফের বাড়তে পারে নদী ও সমুদ্রের জলস্তর। ১৮ ফুটের উপর উঠতে পারে গঙ্গার জলস্তর। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন : আকাশছোঁয়া ডালের দাম, রকেট গতিতে বাড়ছে সর্ষের দামও
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ১ জুন পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। আগামীদিনে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি বছর ২৩ জুন পর্যন্ত ২২৬ মিমি বৃষ্টি হয়ে থাকে। সেখানে এবছর ৩১৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কয়েকদিন আগেই রাজ্যে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তার প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি এখনও পর্যন্ত সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর তার মাঝেই এবার ভরা কোটালের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিটে জলস্তর বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
জল জমার সম্ভাবনা কমাতে গঙ্গার তীরে অবস্থিত লকগেটগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুপুর ১ টা থেকে ৩ টে ৪৫ পর্যন্ত লকগেটগুলি বন্ধ রাখা হবে। যদিও এই সময়ে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তাই খুব বেশি জল জমার কোনও আশঙ্কা নেই কলকাতায়।
রাজ্য প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাগরে জলস্তর ৫.৬৭ মিটার ছুঁতে পারে। নিয়মিত জোয়ারের সময় এটি ৪.৫ মিটার স্পর্শ করে। তবে কিছু জায়গাতে বাঁধের ফাটল দিয়ে উপকূলবর্তী চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে পড়তে পারে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে সেখান থেকে বাঁধের জল ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব কমবে। আজ বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। আর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। কলকাতায় সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা থাকলেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।