একদিকে সেচ, অন্যদিকে ত্রিপল চুরি! উভয় ‘সংকটে’ পড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvenu Adhikari)। শনিবারই শুভেন্দুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করেছে মানিকতলা থানার পুলিশ। সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
স্বাভাবিক কারণেই ওই গ্রেফতারিতেও শুভেন্দু ‘তাৎপর্য’ খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরই মধ্যে এবার ত্রিপল চুরিতে মদত দেওয়ার অভিযোগে শুভেন্দু ও তাঁর ভাই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল। ফলে রাজ্যে তৃতীয় বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসা মাত্রই দুটি মামলায় নাম জড়িয়ে গেল শুভেন্দুর।
আরও পড়ুন : পূর্ব বর্ধমানে বাজ পড়ে মৃত ৪, আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস জেলা প্রশাসনের
ঘটনার সূত্রপাত হয় শনিবার। কাঁথি পুরসভার পুরনো বিল্ডিং ডরমেটরি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় পুরসভার গুদামঘর রয়েছে। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ সেখান থেকে পুরসভায় কাজ করতে যাচ্ছিলেন সেখানকারই এক পুরকর্মী। সেই সময় তাঁর নজরে আসে ওই গুদাম ঘরের সামনে সেন্ট্রাল ফোর্সের জওয়ানদের উপস্থিতিতে ত্রিপল বার করিয়ে ম্যাটাডোরে তোলা হচ্ছে। তড়িঘড়ি ওই কর্মী বিষয়টি গিয়ে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতিকে জানান। খবর পেয়েই সিদ্ধার্থবাবু প্রশাসক মণ্ডলীর দুই সদস্য হাবিবুর রহমান, রত্নদীপ মান্না ও যুব তৃণমূলের এক নেতা সুরজিৎ নায়ককে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরসভার প্রশাসকেরা গুদামের দায়িত্বে থাকা পুরকর্মী হিমাংশু মান্নাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
ওই গুদাম কর্মীর অভিযোগ, ‘শুভেন্দু অধিকারীর কিছু ব্যক্তিগত ত্রিপল পুরসভার গুদামে জমা ছিল। সেই সমস্ত ত্রিপল নেওয়ার জন্য তিনি লোক পাঠিয়েছিলেন।’ কিন্তু পুর প্রশাসকদের পাল্টা অভিযোগ, ওই ত্রিপলগুলিতে সরকারি লোগো লাগানো ছিল।
পুর প্রশাসক সিদ্ধার্থবাবুর আরও অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়ে প্রভাব খাটিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।পুর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এ ভাবে ত্রাণের ত্রিপল বের করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা। এর পরই পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য রত্নদীপ মান্না কাঁথি থানায় গিয়ে শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে ত্রাণের ত্রিপল চুরির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন।
আরও পড়ুন : ‘সিপিআইএমের মতো সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলানো অসম্ভব’, প্রত্যক্ষ প্রতিবাদ ফরোয়ার্ড ব্লকের