শরীর অসুস্থ, রাখা হোক গৃহবন্দি, আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদন ছত্রধরের

২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনায় তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করে এনআইএ।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রাজধানী এক্সপ্রেস পণবন্দি এবং খুনের মামলায় ধৃত জঙ্গলমহলের তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো আদালতের কাছে তাঁকে গৃহবন্দি রাখার আবেদন জানিয়েছেন। শুক্রবার ছত্রধর তাঁর আইনজীবী মারফত কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে এই আবেদন জানিয়েছেন। ছত্রধরের আইনজীবী আদালতকে জানান, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। বাড়িতে থেকেও তদন্তে সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তাই তাঁকে গৃহবন্দি থাকার আবেদন জানিয়েছেন আদালতের কাছে। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হতে পারে আদালতে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ রাজ্যে প্রথম দফায় বিধানসভা নির্বাচন ছিল। ওই দফায় ভোট হয় লালগড়েও। আর ভোট মিটতেই ২৮ মার্চ গ্রেফতার করা হয় ছত্রধর মাহাতো। ২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনায় তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করে এনআইএ। উল্লেখ্য, এনআইএ-র নোটিশ সত্ত্বেও ছত্রধর মাহাতো তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হননি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ সম্পর্কে ছত্রধর অবশ্য দাবি করেছিলেন, হাজিরা দিচ্ছি না, এমনটা নয়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি, তা আদালত ও এনআইএ-কে জানিয়েছি। কারণও জানিয়েছি। আমি আইনে আস্থাশীল। আদালতকে সম্মান করি। এরপরই ভোট মিটতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: দিনে ৩ ঘণ্টা খোলা যাবে রেস্তোরাঁ, কখন খুলতে পারবেন ও শর্ত কী? জেনে নিন

১২ বছর আগে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় রাজধানী এক্সপ্রেসে মাওবাদী হামলার ঘটনায় নাম জড়ায় ছত্রধরের। সেই মামলাতেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইন বা UAPA-তে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ১১ বছর পর ২০২০-র শুরুতে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন ছত্রধর। ছাড়া পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের কমিটিতে নেওয়া হয় তাঁকে। দলের রাজ্য সম্পাদক করা হয় তাঁকে।

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে জঙ্গলমহলে জোর ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। এজন্য রাজ্য বিধানসভা ভোটের কঠিন  লড়াইয়ের আগে রাজনৈতিকভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে যাওয়া জঙ্গলমহলে ফের জোড়াফুলের জমি শক্ত করার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে।  গত ২৮ মার্চ লালগড়ে ছত্রধরের বাড়িতে যায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার ৪০ জনের দল। সেখান থেকেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে। গ্রেফতারির আড়াই মাস পর এবার গৃহবন্দি থাকতে চেয়ে আবেদন ছত্রধর মাহাতোর।

আরও পড়ুন: ‘সব জিনিসে GST থাকলে ভ্যাকসিনে থাকবে না কেন?’, দিলীপের যুক্তিতে বিতর্ক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest