এবার শ্রমিকদের পাশেও দাঁড়ালেন মমতা, নয়া শ্রম বিলের বিরুদ্ধেও আন্দোলনের ডাক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কৃষি বিলের পাশাপাশি এবার শ্রম বিল অর্থাৎ ইন্ট্রাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড বিল ২০২০–র বিরুদ্ধে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার লোকসভায় পেশ করা এই বিলে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক সুপারিশ করেছে, অন্তত ৩০০ কর্মী রয়েছে এমন সংস্থা সরকারি ছাড়পত্র ছাড়াই নিয়োগ বা ছাঁটাই করতে পারবে। এর আগে ১০০ জন বা তার কম সংখ্যক কর্মী রয়েছেন এমন সংস্থাই সরকারি অনুমতি ছাড়া নিয়োগ বা ছাঁটাই করতে পারত। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘‌শ্রমিকদের ওপর বড় বজ্রাঘাত’‌ বলে নিন্দা জানালেন মমতা।

এদিন মমতা প্রশ্ন করেন, ‘‌৩০০ জনের মতো লোক থাকলে যখন ইচ্ছে তখন ছাঁটাই করতে পারার এই আইন কেন আনছে কেন্দ্র?‌’‌ তাঁর কথায়, ‘‌বেশিরভাগ শিল্পই ছোট বা মাঝারি আকারের। তাতে এমনিতেই কম শ্রমিক প্রয়োজন। তার ওপর বড় শিল্পে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি চলে আসায় বেশি লোকবল লাগে না। তা ছাড়া করোনা মহামারির জেরে ইতিমধ্যে অনেকে কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসে।’‌ এই সময়ে কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত ৫৪ জন সন্ন্যাসী, ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বেলুড় মঠ

মমতা এদিন জানান, ‘‌এখন বলা হচ্ছে ৩০০ জনের মতো যেখানে আছে সেখানে সরকার ইচ্ছেমতো ছাঁটাই করে দিতে পারবে। কোন আইনকানুন কাজ করবে না। এর আগে এই সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ছিল ৫০, দেশের ক্ষেত্রে ছিল ১০০। পাপমোচন করার ক্ষমতা নেই, শাপমোচন করতে বলা হয়েছে। চুনোপুটি উৎপাদনের ক্ষমতা নেই, রাঘববোয়াল হবে। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা। সুতরাং আমরা সর্বস্তরের মানুষকে এর প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’‌ মুখ্যমন্ত্রী আশবাদী, আগামীদিন এই শ্রমিক ইস্যুতেও সব রাজনৈতিক দল এক হবে।

সংসদীয় গণতন্ত্রে মাঝে মধ্যেই সংখ্যার কথা চলে আসে। বিজেপি এখন সংখ্যায় গর্বিত। তাই সংসদে তারা নিজেদের খুশিমত সিদ্ধান্ত দেশবাসীর কল্যাণে হচ্ছে বলে আইন বানিয়ে ফেলছে। বিরোধীরা হৈচৈ ছাড়া কিছু করতে পারছে না। সেসবকে আমল দিচ্ছেনা বিজেপি। তারা এখন বৃহৎ বেসরকারি কোম্পানি গুলিকে খুশি করতে চাইছে। তবে বিজেপি সবটাই করে খানিকটা গেরুয়া হিন্দুত্বের ফোড়ন ছিটিয়ে। তাতে দেশের বহু আম আদমিকে তারা খুশি রাখতে পারে। এই আম জনতার একটা অংশ কাজ না থাকলেও কেবল মন্দিরের গপ্পো শুনেই খুশি হয়। কাজ হারালেও বিদ্বেষের কথা শুনতে ভালোবাসে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচার হলে উন্মত্তের মত সব ভুলে যায়। বিজেপি আসলে গুরু আরএসএসের কাছ থেকে সে পাঠ নিয়েছে। এমনটাই ধারণা অনেকেরই।

আরও পড়ুন : OMG! বিছানা নয়, সেক্স চ্যাটেই যৌন চাহিদা মেটান ৬২ শতাংশ ভারতীয় নারী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest