রাজ্য জুড়ে ঘরে ঘরে ভয় বাড়াচ্ছে অজানা জ্বর। আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ হলেও উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই ছয় শিশুর শরীরে মিলেছে স্ক্রাব টাইফাস জীবাণু। এই পরিস্থিতিতে বিপদ এড়াতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সতর্কবার্তা দিল। কী ভাবে বুঝতে হবে সংক্রমণ, সংক্রমিত হলে কী করণীয়, আগেভাগে কোন পদক্ষেপ গুলি নিয়ে রাখা জরুরি,জানিয়ে দিচ্ছে রাজ্য।
নির্দেশিকা
- অজানা পোকায় কামড়ালে ক্ষতে মলম ঘষে দায় না সেরে সটান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বারস্থ হওয়ার নিদান দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য।
- র্যাশ, গ্রন্থির ফোলা ভাব, পেশির যন্ত্রণা এবং শুকনো কফ ওঠার মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কি না নজর রাখতে হবে। এগুলি দেখা গেলে দ্রুত ডক্সিসাইক্লিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার কথাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
- পোকায় কামড়ালে বাড়িতে চিকিৎসা না করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে। বাড়ির লাগোয় ঝোপজঙ্গল থাকলে তা পরিস্কার করতে হবে। কীটনাশক ছড়াতে হবে।
- এই জীবাণু মানব শরীরে ছড়ায় মূলত বাহ্যিক পরজীবী উকুন, এঁটুলি, বিড়াল, কুকুর। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।
- কামড়ের জায়গাটা সিগারেটের ছ্যাঁকার মতো দেখায়, সঙ্গে জ্বর। এটাই এই রোগের উপসর্গ। বুঝলেই সাবধান হয়ে পদক্ষেপ করতে হবে।
এদিকে, অজানা জ্বরের থাবা এবার দুর্গাপুরেও (Child Fever in Durgapur)। গত কয়েকদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ৪২টি শিশু। সকলেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। জ্বর, সর্দি-কাশি সহ একাধিক উপসর্গ রয়েছে তাদের। অনেকের রয়েছে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও।