একুশের বিধানসভা ভোটে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারপরই তিনি ধাপে ধাপে দিল্লি দখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন৷ যার অন্যতম পদক্ষেপ রাজ্যে রাজ্যে দলীয় সংগঠন গড়ে তোলা৷ ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় এই কাজ অনেকটাই সফল হয়েছেন৷ সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের একাধিক নেতামন্ত্রী ত্রিপুরা গিয়েছেন৷ যাবেনও৷ সেখানে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে তৃণমূলের৷ সেই সংগঠনকে আরও মজবুত করতে সায়নীর পর এবার ত্রিপুরা যাবেন সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী (দেব)৷ সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করবেন৷
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহেই দেব ত্রিপুরায় যেতে পারেন। সেখানে তাঁর ঠাসা কর্মসূচি থাকবে। সাংসদ দেব আর পাঁচজনের থেকে অনেকটাই আলাদা। বরাবর সকলকে নিয়ে পায়ে পা মিলিয়ে চলার কথা বলেন তিনি। শুধু তাই নয়, অসমের নাগরিকের একটা বড় অংশ বাঙালি। তাঁদের কাছে অভিনেতা দেবের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে৷ এরকম নানা দিক বিবেচনা করেই দেবকে ত্রিপুরা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর৷
বাংলায় বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পরে এখন তৃণমূলের পাখির চোখ উত্তর-পূর্ব ভারত। সেই লক্ষ্যে আসরে নেমেছে ঘাস ফুল শিবির। এরই মাঝে বুধবার বড় তথ্য ফাঁস করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাস ফুলের পতাকাতলে আসতে চলেছেন ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার জিতেন সরকার।
আরও পড়ুন : মোদীর নির্দেশ, আফগানিস্তান সংকট নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরার কংগ্রেসের বর্ষীয়াণ নেতা জিতেন সরকার নিজে চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সেখানেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে বহু রাজনৈতিক কর্মী তৃণমূল যোগ দেবেন বলেও দাবি করেছেন মমতা।
এই বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, “ত্রিপুরাতে ডেমোক্র্যাসির ডি নেই, আইন-শৃঙ্খলা নেই, কেউ পছন্দ করছে না এই সরকারকে। আমার সঙ্গে কথা হয়েছে জিতেন সরকারের, ত্রিপুরার বর্ষীয়াণ নেতা। স্পিকার ছিলেন, পাঁচ বারের বিধায়ক, তৃণমূলে আসতে চান। আমি অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমরা ত্রিপুরায় জিতব। পশ্চিমবঙ্গের সকল প্রকল্প ওই রাজ্যেও কার্যকর করা হবে।”
আরও পড়ুন : দু’দিনের মধ্যে নিজামুদ্দিন মারকাজ বাসভবন খোলার ব্যবস্থা করুন’, পুলিশকে নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের