২৪ ঘণ্টাও হয়নি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকেও কটাক্ষ ছুড়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এ বার সভাপতি পদ থেকে দিলীপকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিশদে নয়, মৃদু খোঁচা দিলেন বাবুল সুপ্রিয়।
লিখলেন, ‘বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই আমি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে মজা করে এটুকু বলতে পারি, আমার দেওয়া বর্ণপরিচয়টা দিলীপ ঘোষের কাজে লাগবে। কারণ উনি সুকান্ত মজুমদারকে অভিনন্দন জানিয়ে যে টুইট করেছেন সেখানেও ভুল বাংলা লিখেছেন।’
দিলীপের বাংলা নিয়ে মৃদু খোঁচা দিলেও তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনের শুভকামনা করেছেন বাবুল। পরে অবশ্য টুইটারে দিলীপের টুইটটি সংশোধিত ভাবে দেখা যায়।
ভারতীয় জনতা পার্টির নতুন রাজ্যসভাপতি হিসেবে ডঃ সুকান্ত মজুমদারকে অভিনন্দন জানাই এবং তার সাফল্য কামনা করি | pic.twitter.com/Sgl8em4U8J
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) September 20, 2021
বিগত কয়েক বছরে @BJP4Bengal -এরজন অনেক খেটেছেন @DilipGhoshBJP | তাই ওনার আগামী জীবন সুখের হোক এই কামনাই করি | কিন্তু on a lighter note এটা বলতেই হচ্ছে যে আমার বর্ণপরিচয়টা কিন্তু ওনার লাগবে | "ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি…" মানে কি??? আবার ভুল বাংলা !! যাইহোক ভালো থাকুন দিলীপদা? pic.twitter.com/rKKtAqGIfR
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) September 20, 2021
নতুন রাজ্য সভাপতিকে অভিনন্দন জানালেন সদ্য প্রাক্তন দিলীপ ঘোষ। সোমবার নতুন রাজ্য সভাপতি ঘোষিত হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই টুইটার এবং ফেসবুকে সুকান্ত মজুমদারকে অভিনন্দন জানান তিনি। পাশাপাশি, দলের রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্তের সাফল্যও কামনা করেন।
সোমবার টুইটার এবং ফেসবুকে বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টির নতুন রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্ত মজুমদারকে অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর সাফল্য কামনা করি।’
দলে মর্যাদা পাচ্ছেন না মুকুল রায়। এই অভিযোগে এক সময় বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহল আলোড়িত হয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁকে অবশ্য দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে বসিয়েছিলেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু বিজেপি-র মতো দলে সহ-সভাপতি পদের গুরুত্ব কতটা? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপি-তে সহ-সভাপতি পদটি নিতান্তই আলঙ্কারিক।
আরও পড়ুন : বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভাঙড় পরিদর্শনে জুতো হাতে কাদায় নেমে পড়লেন সাংসদ মিমি
মুকুলের আগে রাহুল সিংহকেও ওই একই পদে বসানো হয়েছিল। সেই সময় দলের বিরুদ্ধে রাহুলের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছিল। তার পর অবশ্য রাহুলকে ওই পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়। এ বার সেই সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে আনা হল বঙ্গ বিজেপি-র সদ্য প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তা হলে কি দলে কোণঠাসা হচ্ছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ? সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রদবদলের সময় শোনা গিয়েছিল, দিলীপকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হবে। কিন্তু সে যাত্রায় মন্ত্রী হওয়া হয়নি দিলীপের। এ বার রাজ্য সভাপতি পদও গেল। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, এর পর দলে কতটা গুরুত্ব থাকবে দিলীপের?
আরও পড়ুন : ‘পয়সা খাইয়েছেন Javed Akhtar! অন্য আদালতে মামলা চালান করুন’, কোর্টে আর্জি Kangana