রাজ্যে জারি মহামারী আইন, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ,যেতে হবে না শিক্ষকদেরও

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানানো তিনি। একই সঙ্গে মমতা বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করবেন, তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত বিমা দেবে সরকার।

গোটা দেশেই বাড়ছে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার পর্যন্ত দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪। তবে বাংলায় এখনও পর্যন্ত কারও শরীরেরই COVID-19 ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি। যদিও করোনা-ত্রাসে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন অনেকেই। সোমবার দুপুর পর্যন্ত সেই সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারে পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় আজ নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, আতঙ্কিত না হতে। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” তিনি এ দিন আমেরিকা, ইটালি, ইরান এবং স্পেনের পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘‘প্রতিটি দেশেই দেখা যাচ্ছে তৃতীয় সপ্তাহ থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইটালিতে প্রথম সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২। দ্বিতীয় সপ্তাহে বেড়ে হয় ১৫২। সেই সংখ্যাই পঞ্চম সপ্তাহে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজারের বেশি। তাই আত্মসন্তুষ্টির কোনও জায়গা নেই। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখনও রাজ্যে ২টি জায়গায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে অনুরোধ করছি আরও কয়েকটি জায়গায় পরীক্ষার বন্দোবস্ত করতে।”

আরও পড়ুন: করোনার জের: রাজ্যে স্থগিত পুরভোট, জুনের আগে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই

রাজ্যে করোনারভাইরাস প্রতিরোধের জন্য ২০০ কোটি টাকার তহবিল গড়ার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সমস্ত আইসিডিএস কেন্দ্রও আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, ওই প্রকল্পে নথিভুক্ত শিশুদের জন্য চাল এবং আলু বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি চা বাগান, শপিং মলের কর্মীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমরা মালিকদের অনুরোধ করছি কর্মীদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে।” এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এ দিন সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকেও অনুরোধ করেছেন, বেশি মানুষ যাতে এক জায়গায় জমা হতে না পারেন সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে।

আরও পড়ুন: বারান্দা-জানলা থেকে করোনা-ভয়কে জয় করার মন্ত্র, জীবনমুখী সুরে মুখরিত ইতালি

‘এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যাক্ট ১৮৯৭’ বা মহামারী আইন প্রথম লাগু করা হয় ব্রিটিশ ভারতের বম্বে প্রদেশে। সে রাজ্যে তখন প্লেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এর পর স্বাধীন ভারতে বিভিন্ন সময়ে কলেরা, প্লেগের মতো সংক্রামক রোগের মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্য সরকার এই আইন লাগু করেছে। ২০১৫ সালে গুজরাতেও কলেরা রুখতে এই আইন কার্যকর করা হয়। এই আইনের বলে রাজ্য বাস, ট্রেন, শপিং মল বা যে কোনও জায়গায় সংশ্লিষ্ট রোগে কেউ আক্রান্ত রয়েছেন কি না তা জানতে শারীরিক পরীক্ষা করাতে পারে। এই আইন অনুযায়ী, সরকার প্রয়োজনে কোনও ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য আইসোলেশনে রাখতে পারে। ভর্তি করতে পারে হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রীও এ দিন বলেন, ‘‘চিকিৎসার মাঝপথে কেউ যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন বা চিকিৎসায় অসহযোগিতা না করতে পারেন তার জন্যই এই আইন লাগু করা হল।’’

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest