দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সংগ্রহ করেছেন নমুনা। ফরেনসিক ব্যালেস্টিক টিম প্রাথমিকভাবে CID-কে জানিয়ে দিল, শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে যে চিহ্ন মিলেছে, সেটি রাইফেলের। অর্থাত্ ভোটের দিন রাইফেল থেকে বুথ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়! সূত্রের খবর তেমনই। কিন্তু বাইরে গন্ডগোল হলে বুথ লক্ষ্য গুলি কেন? প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন :Twitter India on IT rules: কেন্দ্রের লাগাতার চাপ, দেশের ডিজিটাল আইন মানতে রাজি টুইটার
দেখতে দেখতে দু’মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। শীতলকুচিকাণ্ডে শেষপর্যন্ত CID-র অনুমানে শিলমোহর দিল ফরেনসিক ব্যালেস্টিক টিম। সম্প্রতি শীতলকুচি বিধানসভার জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে যান তদন্তকারীরা। স্রেফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করাই নয়, ঘটনার পুর্ননির্মাণও করা হয়। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার অনুমান ছিল, ঘটনার দিন বুথ লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দরজা ভেদ করে গুলি লাগে ব্ল্যাকবোর্ডে! এমনকী, সেদিন ব্ল্যাকবোর্ডে একটি চিহ্ন পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে।
ঘড়িতে তখন ১১টা ১০। গতকাল সকালে শীতলকুচি বিধানসভার জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে ঢোকেন ব্যালেস্টিক টিমের তিন সদস্য। বুথ ও আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে CID-কে জানানো হয়েছে, স্কুলের দরজা ও ব্ল্যাকবোর্ডে যে গুলি চিহ্ন মিলেছে, তা রাইফেলের।
প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফার ভোটের দিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে ব্যাপক গণ্ডগোল শুরু হয়। গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছিল, সেদিন ভোটগ্রহণ চলাকালীন বুথের বাইরে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, আত্মরক্ষার জন্য় গুলি চালাতে হয়। কিন্তু সেটাই যদি হয়, তাহলে বুথ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল কেন? শীতলকুচিকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইএসএফ(CISF)-এর দুই অফিসার-সহ ছয় জওয়ানকে করা হয়েছিল। যদিও করোনার অজুহাতে হাজিরা এড়িয়ে যান তাঁরা। তবে সেক্টর অফিসার এএসআই রাফা বর্মন এবং QRT অফিসার এএসআই সুব্রত মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন CID-র তদন্তকারীরা। বাদ যাননি মাথাভাঙা থানার তদন্তকারী অফিসারও।
আরও পড়ুন কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি, দক্ষিণ আফ্রিকায় সাত বছরের জেল মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্রীর