Site icon The News Nest

২১ জুলাই থেকে দৈনিক হচ্ছে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’

jago

রাজ্যের মসনদে তৃতীয় বারের জন্য বসেছে তৃণমূল সরকার। জয়ের হ্যাট্রিকের পরই দলের সাপ্তাহিক মুখপত্রকে দৈনিক করার সিদ্ধান্ত শাসকদলের। শনিবার টুইট করে ‘জাগো বাংলা’ নবরূপে প্রকাশের কথা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস। সেই দিন থেকেই ‘দৈনিক জাগো বাংলা’র আত্মপ্রকাশ হচ্ছে।

২০০৪ সালে সাপ্তাহিক জাগো বাংলার প্রকাশ শুরু হয়। প্রথমে এই মুখপত্রের সম্পাদক ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। বর্তমানে তার সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত হয় এই পত্রিকা। করোনাকালে যখন মুদ্রণের সমস্যা হয়েছে, তখনও ডিজিটালি তা প্রকাশিত হয়েছে। বাদ পড়েনি একটি সংখ্যাও। প্রতি বছর শারদসংখ্যা প্রকাশে রীতিমতো চমক লাগিয়ে দেয় জাগো বাংলা। দেবী পক্ষের সূচনার দিন অর্থাৎ মহালয়ায় পুজোসংখ্যার আত্মপ্রকাশ হয়। যদিও গত বার এই সূচিতে খানিক বদল এসেছিল। নজরুল মঞ্চে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের তাবড় ব্যক্তিত্ব। মলাট চিত্র আঁকেন স্বয়ং দলনেত্রী।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ল ‘‌বাবাকে বলো’‌, থানায় অভিযোগ দায়ের সাংসদ দিব্যেন্দুর

বহু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল জাগো বাংলা দৈনিক হিসাবে প্রকাশিত হবে। অবশেষে আগামী ২১ জুলাই থেকে তা হতে চলেছে বলে খবর। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানান, শুধু দলীয় কর্মীরা নন, সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিদিন তৃণমূলের কর্মসূচি, উন্নয়নের খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্যও জাগো বাংলা দৈনিকে পরিণত হচ্ছে।

এ রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’ এখনও দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ সালে ‘গণশক্তি’ আত্মপ্রকাশ করে। প্রাথমিক ভাবে এটি সান্ধ্য দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হত। ১৯৮০-র দশক থেকে সকালের দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হতে শুরু করে। বছর তিনেক আগে সিপিআই-এর মুখপত্র ‘কালান্তর’ বন্ধ হয়ে যায়। স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই দেশের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মত প্রকাশের অন্যতম হাতিয়ার নানা পত্রিকা। মহাত্মা গান্ধী নিজের সম্পাদনা করতেন হরিজন ও ইয়াং ইন্ডিয়া-র। সুভাষচন্দ্র বসু বের করতেন রাজনৈতিক সাপ্তাহিক ফরওয়ার্ড ব্লক।

আরও পড়ুন: বাজেটে কি পড়লেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দেখে নিন এক নজরে

Exit mobile version