শুধু ‘পুল’ নয়, সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের রেড জোনে শুরু হচ্ছে Rapid Test

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে। এই পরিস্থিতিতে পুল টেস্টিংয়ের পর এবার করোনা র‍্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টও শুরু হতে চলেছে বাংলায়।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতোমধ্যে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় যেখানে-যেখানে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ব্যাপকভাবে, বিশেষত রেড লিস্টে রয়েছে যে সমস্ত জায়গার নাম, সেইসব জায়গায় র‍্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন করোনা রুখতে টেস্টই একমাত্র উপায়। লকডাউন অর্থহীন হয়ে যাবে যদি না বেশি সংখ্যায় টেস্ট করা হয়। অথচ এ রাজ্যে টেস্টের পরিমান যথেষ্ট কম বলেই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের তরফ থেকেও। হাওড়ার মতো জায়গায় মানুষ প্রবল আতঙ্কে ভুগছে। তাই পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে এবার র‍্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই টেস্টের জন্য জেলাভিত্তিক হাসপাতালও চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। মোট ১৪টি মেডিক্যাল কলেজে এই টেস্ট করার জন্য ব্যবহার করা হবে। যদিও টেস্টের সঙ্গেসঙ্গেই ফল জানা যাবে না। তাছাড়া, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ ছাড়া র‍্যাপিড টেস্ট করা যাবে না। তাতে কিটের অপচয় হতে পারে।

র‌্যাপিড টেস্ট কী?

এটি কখনই কোভিড-১৯ নির্ণায়ক কোনও টেস্ট নয়। যে কোনও ভাইরাস শরীরে আক্রমণ করলে, মানুষের দেহে সেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নিজে থেকেই তৈরি হয় প্রতিরোধী ক্ষমতা, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে অ্যান্টিবডি। চিকিৎসকদের দাবি, যে কোনও রেড জোনের বাসিন্দার র‌‌‌্যাপিড টেস্ট করলে জানা যাবে, সেই ব্যক্তির শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না। একটি বিশেষ অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া গেলে ধরে নেওয়া হবে সদ্য ওই ব্যাক্তির শরীরে সংক্রমণ হয়েছে। তাই চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিকে সম্ভাব্য কোভিড আক্রান্ত খোঁজার একটি বাছাই পর্ব বা স্ক্রিনিং বলেই দাবি করেছেন।

images?q=tbn%3AANd9GcTBKab lWNsLj8WQWSfy8RJU sjZdcg fhG9D2VyUPFctztNPF&usqp=CAU

কী ভাবে হবে এই টেস্ট?

এর জন্য প্রয়োজন প্রেগন্যান্সি টেস্টের মতোই এক ধরনের ছোট্ট কিট। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা হাতের আঙুল থেকে কয়েক ফোঁটা রক্ত সংগ্রহ করবেন এবং ওই কিটে প্রয়োগ করবেন। এর পর নির্দিষ্ট একটি রাসায়নিক প্রয়োগ করা হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই পাওয়া যাবে ফলাফল। দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায় এবং পরীক্ষার পদ্ধতি সরল বলে সংক্রমণ রুখতে এই পরীক্ষা কার্যকরী বলে মনে করছেন আইসিএমআরের বিজ্ঞানীরা।

এই সংক্রমণ থেকে বিশ্ব কতদিনে মুক্ত হবে সে খবর কেউ জানে না। এখন স্বদেশের হাতে একটাই উপায় কোনোভাবে এই সংক্রমণ রুখে দেওয়া। সেকারণেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত। বিরোধী অনেকের দাবি আন্তর্জাতিক উড়ান আগেই বন্ধ করা হলে হয়তো খানিকটা উপকার হতে পারত। দেশের মানুষকে এইভাবে ভুগতে হত না।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest