Bhatpara: ফের ভাটপাড়ায় ব্যাপক বোমাবাজি, উড়ে গেল মাথার খুলি, শাসক–বিরোধী তরজা

স্থানীয়দের অভিযোগ. অন্তত দেড়শটি বোমা পড় এক রাতে। ১০টির বেশি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভাটপাড়ায় ফের বোমাবাজি, মৃত ১। বোমার আঘাতে জুটমিল শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ভাটপাড়া ১ নম্বর কুলি লাইন এলাকায় জুটমিল শ্রমিককে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই জুটমিল শ্রমিকের। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। মৃতকে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেন তিনি।বিজেপির দাবি এই কাজে জড়িতরা তৃণমূল আশ্রিত। আর  তৃণমূলের দাবি, আদি এবং নব্য বিজেপির সংঘর্ষের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলছেন, “যাঁরা বোম মারছে তাঁরা ক্রিমিনাল। তারা কোনও দলের না। আমি পুলিশকে বলব কড়া হাতে দমন করুন।”

আরও পড়ুন : বিজেপির অন্দরেই দিলীপকে ঘিরে বিক্ষোভের ছক, ভাইরাল অডিয়ো

বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত জগদ্দল-ভাটপাড়া অঞ্চল। শুক্রবার রাতে জগদ্দল অঞ্চলে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ. অন্তত দেড়শটি বোমা পড় এক রাতে। ১০টির বেশি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ভয়ে ত্রস্ত এলাকাবাসীরা অনেকেই এলাকা ছাড়তেও শুরু করেন।

ভাটপাড়ায় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হয়েছেন তিন পুলিশকর্মীও।বোমার স্‌প্লিন্টারের আঘাতে জখম হন ভাটপাড়া থানার দুই পুলিশকর্মী অভিজিৎ ঘোষ ও প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশও শূন্যে ৬ রাউন্ড গুলি চালায় বলে খবর। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।এই হামলায় স্থানীয় বেশ কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানান, এ ঘটনায় যুক্ত থাকার জন্য ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছে ১২ রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে। তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কুড়িটি কৌটো বোমা পাওয়া গিয়েছে।  রীতিমতো রাত জাগছেন আতঙ্কিত এলাকাবাসী। আর  বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে তরজা চলছেই।

অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘এ রাজ্যে আইনের শাসন নেই। প্রতিদিন এই ধরনের ঘটনা পুলিশের সামনেই ঘটছে। বিজেপি কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ, পুলিশ আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রশাসন যদি কোনও বিশেষ দল ও বিশেষ সম্প্রদায়ের হয়ে কাজ করে, তাহলে এর চেয়ে ভাল কিছু হবে না।’’ পাল্টা জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘‘বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।’’

আরও পড়ুন : ক্যানসারে মারা গিয়েছেন মাহুত, হাতির শেষ শ্রদ্ধা দেখে চোখের জলে ভাসল নেটিজেনরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest