বাবুল সুপ্রিয়র দলবদলের পর জল্পনায় সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। গেরুয়া শিবিরের রক্তক্ষরণ আরও বাড়তে চলেছে বলেই রাজনীতির অন্দরমহলের খবর। বাবুলের তৃণমূলে যোগদানের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই এবার দলবদলের ইঙ্গিত দিয়ে সুর চড়ালেন রায়গঞ্জের BJP বিধায়ক। বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো কৃষ্ণ কল্যাণী।
রবিবার তার রায়গঞ্জের অফিসে বসে কৃষ্ণবাবু বাবুল সুপ্রিয়র দলবদল প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন দেখতে হবে কে কোথায় অসন্মানিত বোধ করছেন। কে গুরুত্ব পাচ্ছেন না। এগুলো বিষয় আছে। আর যারা দল ছাড়ছেন, তারা এই সমস্ত সিদ্ধান্তের জন্যই গিয়েছেন।’ একইসঙ্গে এদিনে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, তিনি নিজেও দলের সমস্ত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবেন। তবে বিধায়ক হিসেবে কাজ চালাবেন। তাঁর মতে, তিনি দলকেও ভাবার জন্য কিছুটা সময় দিয়েছেন। সময় মত কাজ না হলে তিনি নিজেও অন্যকিছু ভাববেন বলে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, বিধায়কের এই হুঙ্কারকে কাজে লাগাতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূলও।
বাবুল সু্প্রিয়র কথাতেও এদিন ইঙ্গিত মেলে আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বমুখের দলবদল সাম্প্রতিক ভবিষ্যতে দেখতে চলেছে বাংলার রাজনীতি। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শক্তিশালী বিরোধী মুখ, তা BJPও জানে। সেই জন্য ওই দল থেকে অনেকেই যোগাযোগ করছেন জোড়াফুল শিবিরে।’
সম্প্রতি রায়গঞ্জের BJP বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী সাংবাদিক বৈঠক করে সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘রায়গঞ্জের BJP সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রায়গঞ্জের মানুষের আশীর্বাদ আর ভালোবাসায় আমি রায়গঞ্জ থেকে BJPর বিধায়ক হয়েছি।’
এই দাবির স্বপক্ষে যুক্তি হিসেবে কৃষ্ণ কল্যাণী যুক্তি হিসেবে পেশ করেন, ‘দেবশ্রী চৌধুরীর মতে, উনি নাকি রাজ্যে BJPর ভাবী মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন। তাই রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলেন উনি। তা না হওয়ায় সমানে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি রায়গঞ্জের বিধায়কের সরাসরি অভিযোগ,’ সাংসদ আমার বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে চলেছে তাই আমার বিধায়কের দফতরে তাঁর ছবি রাখার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।’