Site icon The News Nest

‘দয়া করে দলে নিন,’ বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসার জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে ১০ লাখ আবেদন

TMC flag Trinamool flag

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে (WB Assembly Election 2021) তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ফল তুলনামূলক ভাবে খারাপ হয়েছে উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। এ বার সেই উত্তরবঙ্গ থেকেই কয়েক লাখ সদস্য তৃণমূলে ফিরতে চায়। উত্তরের ৭ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে কোচবিহার (Cooch Behar) থেকে। পিছিয়ে নেই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলাও। মালদহ (Maldah), জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থেকেও প্রচুর আবেদন জমা হয়েছে। দুই দিনাজপুরের (Dinajpur) পাশাপাশি পাহাড়ি দুই জেলা দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পং (Kalimpong) থেকেও আবেদন জমা পড়েছে প্রচুর। উত্তরবঙ্গের যাঁরা যাঁরা তৃণমূলে ফিরতে চান, তাঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। আছেন অমল আচার্য, সরলা মুর্মূ।

আরও পড়ুন : ফুসফুসে সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি নাসিরুদ্দিন শাহ, জানুন কেমন আছেন অভিনেতা?

এদিকে এবার কোচবিহারে ৯টি আসনের মধ্যে সাতটি আসন বিজেপির দখলে যায়। আর অসম লাগোয়া সেই কোচবিহার থেকেই এবার দলে দলে ফিরতে চাইছেন তৃণমূলে। সেই সংখ্যাটা বাড়ছে ক্রমশ। তবে শুধু কোচবিহার নয় আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি. দার্জিলিং পাহাড়, দুই দিনাজপুর থেকে একেবারে দল বেঁধে যোগ দিতে চাইছেন তৃণমূলে।ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার থেকে  খোদ বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সেই স্রোতে গা ভাসাতে চাইছেন অনেকেই।

দল সূত্রে খবর, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য যাঁরা ভোটের আগে বিজেপি শিবিরে ভিড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা এখন তৃণমূলে ফেরার জন্য রীতিমতো কাকুতি মিনতি শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি। শুধু কোচবিহারের বিভিন্ন ব্লক থেকেই প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আলিপুরদুয়ারে এই সংখ্যাটা ৯০ হাজারের কাছাকাছি। পাহাড়ের দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পং থেকে প্রায় ৪০ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। জলপাইগুড়ি ও মালদা থেকে প্রায় ৭০ হাজার ও উত্তর দিনাজপুর থেকে ৫৫ হাজার ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে প্রায় ৪৫ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে দলে ফেরার জন্য।

ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তিনি যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক বিজেপি কর্মী যোগ দিতে শুরু করে দিয়েছেন জোড়া ফুল শিবিরে। এর পাশাপাশি কোচবিহার জেলাতেও প্রায় প্রতিদিন তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন একাধিক নেতা-কর্মী। তবে সাধারণ কর্মীরা যোগ দিলেও, ভোটের আগে দল ছেড়ে চলে যাওয়া নেতাদের ফেরাতে আদৌ কোনও আগ্রহ দেখাবে কিনা দল তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, যে বা যাঁরা বিপদের সময়, লড়াইয়ের সময় দলে থাকলেন না, তাঁদের দলে ফেরানো উচিত হবে কিনা।

আরও পড়ুন : উলুবেড়িয়ায় বিজেপি পঞ্চায়েতে ব্যাপক ভাঙন, প্রধান–উপপ্রধান যোগ দিলেন ঘাসফুলে

Exit mobile version