Lakshman Seth Got Married At The Age Of 77

Lakshman Seth: ৭৭ বছরে ফের বিয়ের পিঁড়িতে লক্ষ্ণণ শেঠ! পাত্রী কে?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

৭৪ বছর বয়সে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Chandra Seth) । এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বিয়ে সারলেন বঙ্গ রাজনীতির বিতর্কিত এই নেতা। আইনি মতে আপাতত বিয়ে সেরেছেন। সামনে রয়েছে জমকালো অনুষ্ঠানও। তবে তাঁর এই বিয়ে নিয়ে পরিবারে অসন্তোষ রয়েছে বলে খবর (Lakshman Seth Marriage)।

মঙ্গলবার ৭৭ বছরের লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘বিয়ে করেছি। ব্যস! কাকে করেছি, কী করে জানাব? নিজের এলাকায় রিসেপশন (প্রীতিভোজ) করব। তখন জানতে পারবেন সকলে। এখনও রিসেপশনের তারিখ ঠিক হয়নি। ঠিক হলেই সব জানাব।’’

সূত্রের খবর, গত ২৪ মে দ্বিতীয় বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন লক্ষ্মণ। পাত্রী মানসী দে। কলকাতার একটি বহুজাতিক হোটেল গোষ্ঠীর এক পদস্থ আধিকারি। বয়স ৪২ বছর। গত সপ্তাহে তাঁর সঙ্গে আইনি বিবাহ সেরেছেন লক্ষ্মণ। তমালিকার আগের পক্ষের একটি ছেলেও রয়েছে। আগামী ২৪ জুন জমকালো অনুষ্ঠান করবেন। লোকজন ডেকে হবে প্রীতিভোজ। সেখানে বাঙালি রীতি-রেওয়াজ মেনে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন নবদম্পতি।

১৯৭৯ সালে তমালিকা পণ্ডা শেঠের সঙ্গে বিয়ে হয় লক্ষ্মণের। ১৯৯৭ সালে হলদিয়া পুরসভার চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন তমালিকা। ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মহিষাদলের বিধায়কও ছিলেন তিনি। রাজনীতিতে লক্ষ্মণের ‘যোগ্য সহধর্মিণী’ ছিলেন। এক সময় হলদিয়ায় বিশাল গণবিবাহের আয়োজন করতেন লক্ষ্মণ। পাশে থাকতেন তমালিকা। লক্ষ্মণকে সিপিএম বহিষ্কারের পর দল ছাড়েন তমালিকাও। ২০১৫ সালে স্বামীর তৈরি ‘ভারত নির্মাণ দল’-এ যোগ দেন তিনি। ২০১৬ সালে মৃত্যু হয় তমালিকার। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। লক্ষ্মণ এবং তমালিকার দুই ছেলেও রয়েছে।

অন্যদিকে, বঙ্গ রাজনীতিতে এককালে লক্ষ্মণকে একডাকে চিনতেন সকলে। তিন বারের সাংসদ তিনি, বিধায়কও হয়েছেন তিন বার। নন্দীগ্রামকাণ্ডের পর তাঁকে বহিষ্কার করে CPM. এর পর ‘ভারত নির্মাণ পার্টি’ নামে নিজের আলাদা দল গঠন করেন লক্ষ্মণ। পরে আবার BJP-র হাত ধরেন। সেখানে হালে পানি না পেয়ে গিয়ে ওঠেন কংগ্রেসে।

গত লোকসভা নির্বাচনে হাত চিহ্নে তমলুক থেকে নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লক্ষ্মণ। কিন্তু জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তাঁর। তার পর বেশ কিছু দিন চুপচাপ ছিলেন। শোনা যায়, মাঝে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠিও লেখেন লক্ষ্মণ। তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু মমতার তরফে সে ভাবে সাড়া পাননি। এর পর এ রাজ্যে আম আদমি পার্টির হাত ধরারও চেষ্টা করেন। কিন্তু সদুত্তর পাননি সেখান থেকেও। তার পর থেকে আর সে ভাবে খবরে ছিলেন না লক্ষ্মণ। এতদিন পর দ্বিতীয় বিবাহে দৌলতে ফের খবরে উঠে এলেন তিনি।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest