YOUTH DIES IN POLICE CUSTODY, LOCAL PROTEST AT BARAKAR POLICE STATION AFTER

পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, পুলিশের গাড়িতে আগুন, অগ্নিগর্ভ বরাকর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু ৷ উত্তপ্ত হয়ে উঠল কুলটি থানার বরাকর এলাকা ৷ দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ ৷ টায়ার জ্বালিয়ে চলে পথ অবরোধ, ইট বৃষ্টি ৷ এমনকী, পুলিশের গাড়িতে আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷

আরও পড়ুন : প্রয়াত মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা, ভর্তি ছিলেন চেন্নাইয়ের হাসপাতালে

সোমবার রাতে আরমান খান নামে এক যুবককে ছিনতাইবাজ হিসেবে আটক করে পুলিশ । কিন্তু, আজ সকালে পুলিশের হেফাজতে আরমানের মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়ে ৷ এরপরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় । স্থানীয়দের দাবি, বরাকর থানার পুলিশ আধিকারিক তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে । এই খবর প্রচার হতেই দলে দলে লোক এসে জটলা করে বরাকর থানার সামনে । চলে ইট বৃষ্টি । সঙ্গে পথ অবরোধ ৷ এরপরেই উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র‍্যাফ । লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরানো হয় । দফায় দফায় বিক্ষোভ-উত্তেজনা ছড়ায় ঝাড়খন্ড সীমান্ত লাগোয়া এই শহরে ।

এদিন আরমানের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই খবর পেয়েই ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, সোমবার রাতে আরমানকে পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর জেলে তাঁর উপর পুলিশ রীতিমতো অত্যাচার করে। আর সেই জন্যই মৃত্যু হয়েছে আরমানের। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। মুহূর্তে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বরাকর এলাকা। ইটপাটকেল ছোড়া হয় ফাঁড়িতে। এরপর উন্মত্ত জনতা সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এলাকার সমস্ত দোকান বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর কুলটি থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি। গোটা এলাকায় রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর । এই ঘটনায় দু’জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । এদের মধ্যে একজন হলেন বরাকর থানার আইসি অমরনাথ দাস ও এসআই প্রশান্তকুমার পাল ৷ এই দুইজনের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা ৷ এক স্থানীয় বাসিন্দা সিকান্দার আনসারি জানাচ্ছেন, কোনও কারণে আমার বন্ধুকে গতকাল রাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ প্রথমে কী মামলা ছিল, জানি না ৷ সকালে শুনতে পেলাম ওকে মেরে ফেলা হয়েছে ৷ এর জবাব চাই ৷ কেন মারা হয়েছে? এর জবাব চাই ৷

আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ, আরাবুলপুত্রর গাড়ি ভাঙচুর, নতুন করে রণক্ষেত্র ভাঙড়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest