কলকাতা: বিভিন্ন জোন ভাগ করে রাজ্যে দোকানপাট খোলার ব্যপারে রূপরেখা তৈরি করেছে রাজ্য। বুধবার বিকেলেই ঘোষণা করা হতে পারে সেই নির্দেশিকা, এমনটাই ইঙ্গিত নবান্ন সূত্রে।
গত শুক্রবার মাঝরাতে কেন্দ্রীয় সরকার দোকানপাট খোলার ব্যাপারে একটি নির্দেশিকা জারি করে। কিন্তু সেই নির্দেশিকার অস্পষ্টতা নিয়ে সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওই দিন নবান্নে জানিয়েছিলেন, ক্যাবিনেট সচিবের কাছ থেকে এই নির্দেশিকা সম্পর্কে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। তা পাওয়ার পরই রাজ্য সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, দোকান খুললে মানুষ রাস্তায় নামবেন। এক দিকে যেখানে কেন্দ্র লকডাউন কার্যকর করার বিষয়ে আরও কড়া হতে বলছে সেখানে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই সামাজিক দূরত্ব বিধি বিঘ্নিত হওয়া।
আরও পড়ুন: করোনায় প্লাজমা থেরাপিকে মান্যতা দিল না কেন্দ্র,রোগীর আরও ক্ষতি হতে পারে, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের ব্যখ্যা পাওয়া যাবে না ধরে নিয়েই, বুধবার বৈঠক করবেন সোমবার গঠিত নতুন মন্ত্রীগোষ্ঠী। সেই বৈঠকেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজ্যে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুর রেড জোন। তার বাইরে ১১ টি জেলা অরেঞ্জ জোন। ৮ টি জেলা এখনও গ্রিন জোন। সূত্রের খবর, এই সংক্রমণের নিরিখেই শিথিল করা হবে দোকান খোলার নিয়ম বিধি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্যসচিব জানান, ক্যাবিনেট সচিবের কাছ থেকে কোনও ব্যখ্যা আসেনি। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব নিজে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার সঙ্গে কথা বলেন কিন্তু তাতেও অস্পষ্টতা দূর হয়নি। নবান্নের দাবি, কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার এই অস্পষ্টতার জন্য আরও সাতটি রাজ্য এখনও কেন্দ্রের নির্দেশিকা কার্যকর করেনি।
গত ২৪ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে। তাতে বলা হয়, বাজার, মার্কেট কমপ্লেক্স এবং শপিং মলের বাইরে থাকা দোকান খুলতে পারে। তবে তা রেড জোন বা কনটেনমেন্ট এলাকার বাইরে হতে হবে। তবে সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল যে দোকান খোলার ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দু’হাজার ৪০০-র বেশি ছোট শিল্প চালু করার ব্যপারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। তবে একটি বিষয় অনেকটাই স্পষ্ট, দোকানপাট, ছোট শিল্পের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও, পরিবহণের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকবে।
আরও পড়ুন: এক দিনে মৃত্যুতে রেকর্ড, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়াল