সোমবার ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতরাতে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে ছিলেন তিনি। নবান্ন সূত্রে খবর, আজ সকালে হেলিকপ্টারে করে তিনি ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। আকাশপথে ঘুরে দেখবেন বন্যা পরিস্থিতি। এরপর ঘাটালের বঙ্গবাসী কলেজের মাঠে নামবেন তিনি। সেখান থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখবেন। পাশাপাশি দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন।
ঝাড়গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বেলা ১২টা নাগাদ ঘাটালে পৌঁছন তিনি। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মমতার সঙ্গে রয়েছেন ঘাটালের সাংসদ দেব। রয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকা খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ শিবিরগুলিতেও যাওয়ার কথা তাঁর।
টানা বৃষ্টির ফলে একাধিক ড্যাম থেকে জল ছাড়া হয়েছে। বৃষ্টির ফলে জল বেড়েছে নদীগুলিতেও। সেই জল ঢুকেছে ঘাটালের একাধিক গ্রামে। জলের তলায় ডুবে গিয়েছে অধিকাংশ গ্রাম। ঘাটাল পুরসভার অন্তর্গত ১৭ টি ওয়ার্ডে জমেছে জল। জমা জলে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। এর পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট।
আরও পড়ুন : নিয়ম ভেঙে জমায়েত, বিজেপির ‘ভারত জড়ো আন্দোলন’ সভায় উঠল মুসলিম বিরোধী স্লোগান
কয়েকদিন আগেই ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গিয়েছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। নৌকায় চেপে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। আর তারপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার ঝাড়গ্রাম যাওয়ার পথে হেলিকপ্টার থেকে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। উদয়নায়ারণপুরের পাশাপাশি আমতাও পরিদর্শন করেন তিনি।
সূত্রের খবর, এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার জন্য ডিভিসিকে দায়ি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জল ছাড়া নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। পরবর্তীকালে ভাবনাচিন্তা করে তারপর যাতে জল ছাড়া হয় সেবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
মমতার অভিযোগ, প্রতি বছর এইরকম বন্যা করাচ্ছে। এটা বর্ষা বেশি হচ্ছে বলে নয়, এটা ম্যান মেড বন্যা। আগেও, সাত-আটটা চিঠি দিয়েছি। কোনও সুরাহা হয়নি।
এদিকে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। এই মুহূর্তে নদীগুলির জলস্তর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। নতুন করে আর জল ঢুকছে না দাসপুর এবং ঘাটালে। পাশাপাশি জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে দ্রুত জল নেমে যাবে বলেই মনে করছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা।
ডিভিসির পাঞ্চেত, মাইথন এবং তেনুঘাট জলাধার থেকে প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার ফলে হুগলি, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে গেছে।
আরও পড়ুন : IOS ভার্সানে আসছে ব্যাটেলগ্রাউন্ডস মোবাইল ইন্ডিয়া, জল্পনা উস্কে দিল গেমিং কর্তৃপক্ষ