সিঙ্গুর জমি আইনের ১০ বছর পূর্তি, ‘কৃষক স্বার্থে লড়াই চলবে’, টুইট মমতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। সিঙ্গুর বিল পাশের বার্ষিকীতে টুইট করলেন তৃণমূলনেত্রী। সোমবার টুইটারে মমতা লেখেন, ‘দেশজুড়ে কৃষকদের যন্ত্রণা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।’ কৃষকদের দুর্দশার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে আরও একবার তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে বার্তা দেন, কৃষক-স্বার্থে তাঁর লড়াই চলবে।

এদিন টুইটারে মমতা লেখেন, ‘দশ বছর আগে এই দিনে সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন ও উন্নয়ন বিল পাশ হয় বিধানসভায়। বহু লড়াইয়ের পর এই সাফল্য এসেছিল। দেশজুড়ে কৃষকদের যে যন্ত্রণা তা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। কেন্দ্রের সরকার এ নিয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। কৃষকদের অধিকার রক্ষায় একসঙ্গে লড়াই করব। কৃষকদের অধিকার আদায়ের লড়াই চলবে।’

আরও পড়ুন : EURO 2020: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়, ইউক্রেনকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ হাসি হাসল ডাচরাই

বাম সরকারকে সরিয়ে ২০১১ সালে প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষয়তায় আসে মমতার নেতৃত্বাধীন সরকার। সে বছর ১৪ জুন বিধানসভায় পাশ হয়েছিল ‘সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন বিল ২০১১’। এই আইন পাশ করানোর জন্য তৃণমূলের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়েছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, ‘দীর্ঘ এবং কঠিন লড়াইয়ের পর ১০ বছর আগে, আজকের দিনে সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন বিল ২০১১ পাশ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়। কৃষকদের অধিকার, অভিযোগকে সামনে আনা এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার জন্য আমারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে লড়াই করেছি।’

কৃষকদের জন্য নিজের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করানোর পরই কৃষকদের প্রতি নরেন্দ্র মোদী সরকারের উদাসীনতাকে বিঁধেছেন। কৃষকদের লড়াইয়ে তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়ে অপর একটি টুইটে লিখেছেন, ‘কেন্দ্রের উদাসীনতায় দেশ জুড়ে কৃষকরা যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। সমাজের মেরুদণ্ড যাঁরা, তাঁদের (কৃষকদের) ভালর জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। কৃষকদের অধিকার আমাদের অগ্রাধিকার।’

২০০৬ সালের মে মাসে সিঙ্গুরের কৃষি জমিতে একলাখি গাড়ির কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিল টাটা মোটরস। সে সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু কৃষকরা জানিয়েছিলেন, বহু ফসলি এই জমি তাঁরা কিছুতেই ছাড়বেন না। তা থেকেই আন্দোলনের শুরু। কিন্তু যে কোনও আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে দরকার যোগ্য নেতৃত্বের। সেদিন সিঙ্গুরের কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা।

এর পর লড়াই এগিয়েছে প্রাণের বিনিময়ে। তাপসী মালিক, রাজকুমার ভুলের মৃত্যু আজও মনে রেখেছে বাংলা। এরইমধ্যে মমতার এদিনের টুইট ঘিরে নতুন করে শক্তি পেল কৃষক-লড়াই। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন কৃষক নেতা ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত। মমতার সঙ্গে নবান্নে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, কৃষকদের আন্দোলনে সর্বত সমর্থন দেবেন তিনি। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদীর সরকারের নতুন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলনের আগুন জ্বলছে দিল্লিতে। যে আন্দোলনকে ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।সিঙ্গুরের কৃষক আন্দলোন তাঁকে সাহায্য করেছিল বাম সরকারকে সরাতে। এবার কি তবে দেশের কৃষক আন্দোলন দিয়ে বিজেপিকে হটানোর কথা ভাবছেন মমতা ? সময়ই দেবে উত্তর।

আরও পড়ুন : ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ থেকে ‘পদ্মাবত’, বহু হিট ছবি করা হয়নি সুশান্ত সিং রাজপুতের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest