আজ দুপুর ৩টে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সাংবাদিক বৈঠক মূলত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশকে কেন্দ্র করে বলে খবর। নবান্ন সূত্রে খবর, তাঁর বদলির বিরোধিতা করে কেন্দ্রকে চিঠি দিতে চলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত তা কেন্দ্রকে ব্যাখ্যা করতে হবে। এখন করোনাভাইরাস রুখতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছেন। তাছাড়া তাঁকে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস–এর দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দিঘার। সেটা সাজাতে মুখ্যসচিবকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রের এই ফতোয়া মেনে নিতে নারাজ রাজ্য।
ঘটনাপ্রবাহ বলছে, মমতার সাংবাদিক বৈঠকের ঠিক পরে পরেই একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে শুভেন্দু তাঁর বক্তব্য জানাবেন ও প্রশ্নের উত্তর দেবেন বলে বিজেপি-র পক্ষ থেকে শনিবার দুপুরে জানানো হয়েছে।
আলাপনের অবসরের দিন ৩১ মে। ঠিক সেই দিনই তাঁকে নর্থ ব্লকে গিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই আলাপনের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছেন মমতা। ফলে আলাপন ওই দিনের পরেও সরকারি চাকরিতে থাকবেন। এখন প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করার যে সিদ্ধান্ত রাজ্য নিয়েছে সেটি খারিজ করে দেবে কি? তার চেয়েও আগে রয়েছে আরও একটি প্রশ্ন। মুখ্যসচিবকে দিল্লির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য নবান্ন ছাড়পত্র দেবে কিনা? শনিবার সেই উত্তরই দিতে চান মমতা। আলাপন-প্রশ্নে রাজ্যের প্রাক্তন আমলাদের একাংশ জানাচ্ছে, এ ভাবে কোনও আইএএস অফিসারকে তলব করা বা তাঁকে জোর করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে পারে। কিন্তু ‘ক্যাট’ (সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল) বা আদালতে গেলে তা ধোপে টিকবে না। অন্তত এই ক্ষেত্রে কারণ, আলাপনের চাকরির শেষদিনে তাঁকে এই বদলির নির্দেশ যে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিহিংসা মূলক’, তা স্পষ্ট।