এবার কলকাতার একটি পুজোমণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রীর আদলে তৈরি হচ্ছে মাতৃমূর্তি । ইতিমধ্যে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল । কিন্তু দুর্গাপুজোর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর মাতৃ অবয়ব মণ্ডপে তুলে এনেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি গণেশ পুজো কমিটি । হরিশ্চন্দ্রপুরের জাগরণ সংঘ এবার গণেশ পুজোয় দশভূজার কোলে গণপতির মূর্তি তৈরি করে এলাকার মানুষজনকে চমকে দিয়েছে । এই নিয়ে রাজনৈতিক কথা চালাচালিও শুরু হয়েছে ।
জাগরণ সংঘের প্রথমবারের গণেশ পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দশভূজায় রূপ দেওয়া হয়েছে । তাঁর গায়ে নীল পেড়ে সাদা শাড়ি । আট হাতে রয়েছে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্ল্যাকার্ড । দুই হাতে কোলে সামলে রেখেছেন গণেশকে । ক্লাব কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে গত 10 বছর ধরে বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পে রাজ্যের মানুষের সমস্যা দূর করছেন, যেভাবে রাজ্যকে বিভিন্ন ঝড়ঝাপটা থেকে রক্ষা করে চলেছেন, তাতে তিনি মা ছাড়া আর কিছু নন । তাই তাঁর মাতৃ অবয়ব মণ্ডপে তুলে ধরা হয়েছে ।গতকাল রাতে পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মণ্ডল, জেলা সম্পাদক জম্মু রহমান, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় প্রমুখ ।
এনিয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, “দেবী দুর্গার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা করা ঠিক হয়নি । মানুষ এটা ভাল চোখে দেখছে না । সময় আসলে মানুষ এর উত্তর দেবে । মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেতাদের চোখে রাজ্যের মা হতে পারেন, কিন্তু কখনও কোনও দেবতার মা হতে পারেন না । এটা হয়তো মুখ্যমন্ত্রীও ভাল চোখে দেখবেন না ।
জাগরণ সংঘের বিভিন্ন পদে রয়েছেন তৃণমূলের নেতারাই । ক্লাব সম্পাদক তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, “গণেশ পুজো আমাদের ক্লাবে প্রথমবার করা হচ্ছে । এবার আমাদের পুজোর থিম, দিদির চালু করা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপস্থাপনা । গণেশকে তিনি নিজের হাতে ধরে রেখেছেন । এক অশুভ শক্তি বাংলাকে গ্রাস করতে চেয়েছিল । সেই শক্তির হাত থেকে দিদি আমাদের বাংলাকে বাঁচিয়েছেন । একে কেন্দ্র করেই আমাদের পুজোর থিম ।”