ভোটের ফলপ্রকাশের পরই যেন উলটপুরাণ। বিজেপি ছেড়ে এবার ঘাসফুল শিবিরে ফেরার হিড়িক লেগেছে। শুক্রবার বীরভূমের সাঁইথিয়ায় কমপক্ষে ৩০০ জন পদ্ম শিবির ছেড়ে যোগ দিলেন শাসক শিবিরে। গঙ্গাজল ছিটিয়ে তাঁদের দলে ফেরালেন বনগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।
আরও পড়ুন : নন্দীগ্রাম পুনর্গণনা মামলার বিচারপতি বিজেপি ঘনিষ্ঠ? ছবি পোস্ট করে টুইট তৃণমূল সাংসদ ডেরেকের
শুক্রবার সকালে অন্তত ৩০০ জন বিজেপি (BJP) কর্মী সাঁইথিয়ার বনগ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। ‘ভুল করেছি’ লেখা প্ল্যাকার্ডও ছিল তাঁদের হাতে। প্রায় চারঘণ্টা ধরে ধরনায় বসেন তাঁরা। পরে বনগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁদের গায়ে গঙ্গাজল ছেটানো হয়। তারপরই বিজেপি কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। তবে পঞ্চায়েত প্রধান কেন ওই বিজেপি কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হল, তা নিয়েই চলছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতৃত্ব এই যোগদানের বিরোধিতা করেছেন। যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পরামর্শ মেনে একাজ করেছেন।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি কর্মীদের দলবদলের ফলে ক্রমশই শক্তি বাড়ছে তৃণমূলের (TMC)। আর তার ফলে বেজায় ক্ষুব্ধ পদ্মশিবির। জোর করে ভয় দেখিয়ে যোগদান করানো হচ্ছে বলেই দাবি বিজেপির। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই বলেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার সিদ্ধান্ত বলেই পালটা দাবি ঘাসফুল শিবিরের। গায়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দলে যোগদানের প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেও আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের দাবি, যাঁরা বিজেপিতে ছিলেন তাঁদের মানসিক শুদ্ধিকরণের কারণেই গঙ্গাজল ছেটানো হয়েছে। সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারীরা জানান, বিজেপিতে কাজ করার পরিবেশ নেই। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে যোগ দেওয়ার জন্য দলবদল।
আরও পড়ুন : ১৩ বছরের রেকর্ড ভাঙল সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণ!