আজ বিধানসভায় এসে মুকুল রায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্যপদে মনোনয়ন জমা দিয়ে গিয়েছেন। তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার তিনি এই কমিটির চেয়ারম্যান হতে চলেছেন। আর তাই এই কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে আনা হলে সমস্ত কমিটি থেকে বয়কটের পথে যেতে পারে বিজেপি। দলের অন্দরে এই নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিরোধী দলের নেতাকেই এই পদ দেওয়া হয়। মুকুল রায় নথি অনুযায়ী, এখনও বিজেপির বিধায়ক। আর তিনি এখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাহলে কীভাবে মুকুলকে এই কমিটির দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলেই বিধানসভার কার্যত সমস্ত কমিটি বয়কট করার কথা ভাবছে বিজেপি।
আরও পড়ুন : Delta Plus Variant: ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ডেল্টা প্লাস, তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কায় ৩ রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের
শুভেন্দু জানিয়েছেন, আগামী ১৬ জুলাই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের প্রথম শুনানি স্পিকারের কাছে। সেখানে শুভেন্দু সব তথ্য ও নথি তুলে ধরবেন তাঁর যুক্তির স্বপক্ষে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের কথায়, ‘‘সদ্য তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এখন আবার তৃণমূলই তাঁর নাম পিএসি কমিটিতে প্রস্তাব করেছে। গত বৃহস্পতিবার আমি ৬৪ পাতার একটি অভিযোগ জমা দিয়েছিলাম স্পিকারের কাছে। বুধবার আমার সেই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়ে গেল। ওঁর বিধায়ক পদই থাকবে না। বিধায়ক না থাকলে পিএসি-র চেয়ারম্যান হওয়ার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে!’’ শুভেন্দুর আরও বলেন, ‘‘স্পিকার আমাকে ১৬ তারিখে ডেকেছেন শুনানির জন্য। আমি সেই শুনানিতে আসব, সব তথ্য নথি জমা দেব। তার পর তো আর বেশি দিন অপেক্ষা করব না। আদালতে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। বিধায়কই থাকবেন না, তা হলে আর বিধায়ক কী? আর পিএসি কী?’’
এ প্রসঙ্গে বিধানসভার উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় বলেন, ‘‘পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি-সহ বিধানসভার সমস্ত কমিটির চেয়ারম্যান ঠিক করার অধিকার রয়েছে স্পিকারের। এখানে সরকার পক্ষের কোনও হাত নেই।’’ তৃণমূল যদিও দাবি করেছে, মুকুলের মনোনয়নে তাদের কোনও হাত নেই। যদিও, প্রস্তাবক হিসেবে মুকুলের মনোনয়নে সই করেছেন কার্শিয়াঙের তৃণমূল সমর্থিত মোর্চার বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচা ও এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি।
আরও পড়ুন : ফের পদ্মশিবিরে ভাঙন, এবার দল ছাড়লেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য