Mysterious death of Burdwan Medical College student, suicide or murder? Confusion

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রের রহস‍্য মৃত‍্যু, আত্মহত্যা না খুন? ধন্দ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক হবু ডাক্তারের। মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে পাঠরত ছিলেন তিনি। ইন্টার্নশিপও শেষ হয়েছিল। কিন্তু ডাক্তার হওয়া হল না। তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল তাঁর।জানা গেছে মৃত ছাত্রের নাম শেখ মোবারক হোসেন। তিনি বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা। বুধবার ভোর রাতে হোস্টেলের তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অনুমান। তবে আত্মহত্যা না খুন সে নিয়েই জাগছে সংশয়। তদন্তের আর্জি জানায় ছাত্রের পরিবার।

চলতি মাসের ১৫ আগস্ট কাউন্সেলিংয়ের পর শেখ মোবারকের হাউসস্টাফ হিসাবে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। বাবা শেখ হাফিজুল ইসলাম জানান, তার সঙ্গে একটি মেয়ের ছবি ফেসবুকে দেখেছেন। বিয়ে দিতে তাঁর আপত্তি নেই বলে ছেলেকে জানিয়েছিলেন। গত সোমবার ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে তাঁর।

মৃতের মামা জানিয়েছেন, মোবারকের সঙ্গে কারোর শত্রুতা ছিল না। এক সহপাঠী গ্রামে খবর দেন। আজ এসে তারা এই দৃশ্য দেখে হতবাক।একটি মেয়ের সাথে দু বছর আগে সম্পর্ক হয়েছিল।পরে মোবারক বাড়িতে জানায় সেই মেয়েটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। পরিবারের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত হোক। কারণ তাঁদের মতে ইটা আত্মহত্যা নয়। মোবারকের ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তাঁরা। এটা পরিকল্পিত খুন, সন্দেহ তাদের। বুধবার মেডিক্যাল কলেজে আসেন ডি এস পি হেডকোয়ার্টার সৌভিক পাত্র এবং বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। তাঁরা এসে জায়গাটি পরিদর্শন করেন।

মোবারকের সহপাঠী শাহ আলম জানান, বুধবার ভোররাতে হঠাৎই একটা আওয়াজ পান। হোস্টেলের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন উপুড় হয়ে পড়ে আছে মোবারকের দেহ। তাঁর অনুমান, ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন মোবারক। যদিও কারণ অজ্ঞাত।

খবর পেয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন মোবারকের পরিবার। বাবা শেখ হাফিজুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়েছিল ছেলের অবস্থা খারাপ। এসে দেখেন মৃত্যু হয়েছে ছেলের।পরিবারের সন্দেহ ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ছেলের দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

পরিবার সূত্রে খবর, মোবারকের সঙ্গে একটি মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়ে গেছিল। পরিবারে এখন খুশির হাওয়া, তারই মধ্যে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় হতবাক সকলেই।মোবারকের মামা সফিকুল হাসানের দাবি, কারও সঙ্গে মোবারকের শত্রুতা ছিল কিনা তা জানেন না। তবে আত্মহত্যা করতে পারেন না মোবারক। তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest