Site icon The News Nest

করোনার মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে বাড়ি ফিরলেন ৭৭-এর বুদ্ধদেব

buddhadeb

অবশেষে কোভিড মুক্ত। সাত দিন পর সেফ হোম থেকে বাড়ি ফিরলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে ফিরলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও (Mira Bhattacharya)। আর এর সঙ্গেই অটুট রইল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গীকার। গত ২ জুন উডল্যান্ডস হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই সময়ই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তাঁর অঙ্গীকারের কথা। কী সেই অঙ্গীকার?

আরও পড়ুন : 356-র জুজু মানুষ ভালোভাবে নেবে না, রাজীবের পোস্টে বিতর্ক

উডল্যান্ডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আর তাই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর উদ্বিগ্ন ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যেহেতু করোনায় মৃতদেহের প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি অর্থাৎ মেডিক্যাল কলেজে কাটাছেঁড়া সম্ভব নয়। করোনায় তাঁর মৃত্যু হোক, তেমনটা চাননি বুদ্ধদেব। ফলে করোনা মুক্ত হয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তিনি। বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি হয়েছেন বলেই দলীয় সূত্রে খবর।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও স্ত্রীর মীরার শরীরে স্বাভাবিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। যদিও তাঁদের এখন চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই চলতে হবে। জানা গিয়েছে, ফিজিওথেরাপি হতে পারে বুদ্ধদেবের। আধশোয়া অবস্থায় তাঁকে CIT রোডের মেরিল্যান্ড হাসপাতালের সেফ হোম থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। পাম অ্যাভিনিউয়ের গেটের মুখে অ্যাম্বুল্যান্স থামতে হেঁটেই ঘরে ঢোকেন স্ত্রী মীরা। দু’জনেই ভালো আছেন। স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া করছেন। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ মে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ৮০-৮২ তে নেমে আসে। এরপর তাঁর সাইটোকাইন স্টর্মও ধরা পড়ে। পাঁচ দিনের রেমডেসিভিরের কোর্স চালু হয় উডল্যান্ডস হাসপাতালে। সাত সদস্যের মেডিক্যাল টিমের চিকিৎসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন বুদ্ধদেব। একই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও দলের পরামর্শেই তাঁদের রাখা হয় CIT রোডের মেরিল্যান্ড হাসপাতালের একটি সেফ হোমে।

আরও পড়ুন : আজ মোদির কাছে শুভেন্দু, ৩৫৬ এর ছক কষতে দিল্লি গেলেন সৌমিত্র-অর্জুন-নিশীথরা!

Exit mobile version