সুন্দরবনে ত্রাণ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু উল্টোডাঙার বাসিন্দার, আহত অনেকে

“কখনও কারও অপকার করেনি লোকনাথ। যে যখন ডেকেছে, সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছে। এবারও সুন্দরবনে ত্রাণ দিতেই যাচ্ছিল। কিন্তু কী হয়ে গেল! এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।”
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সুন্দরবনে ত্রাণ দিতে যাওয়ার সময় বিরাট দূর্ঘটনা। উল্টে যায় গাড়ি।  দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। ১৫ জন আহত বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উল্টোডাঙা মুচিবাজারের নিউ গোল্ডেন স্টার ক্লাবের তরফে সুন্দরবনের মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কাকভোরেই ৩টে গাড়ি খাবার, জামা-কাপড় নিয়ে রওনা দেন। বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেখানেই ঘটকপুকুরের কাছে ভয়াবহ  দূর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন উল্টোডাঙার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন : ‘তেল-গ্যাস বিক্রিতে ডলার ব্যবহার করবে না রাশিয়া’

গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলে ডুবেছে ঘরবাড়ি। ভেসে গিয়েছে খাদ্যসামগ্রী। খাবারের অভাবে অসহায় হয়ে পড়েছেন সেখানকার গ্রামের মানুষজন। তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন লোকনাথরা। স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য হিসেবেই দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই মতোই ক্লাবের অনেকে মিলে রবিবার সকালে রওনা দেন সুন্দরবনের উদ্দেশে। মোট তিনটি গাড়িতে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ঘটকপুকুরে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, গাড়ি উলটে যাওয়ায় প্রাণ হারান লোকনাথ। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে বলে খবর।

তিনটে গাড়ির মধ্যে একটি গাড়ি (ছোটা হাতি) উল্টে যায়। সেই গাড়ির মধ্যে ছিলেন ৭ থেকে ১০ জন। তার মধ্যে বছর ৩২ -র লোকনাথ নামের এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন দূর্ঘটনায়। জানা গিয়েছে, ২ বছর আগেই বিয়ে হয়েছে তাঁর। ৬ মাসের একটি সন্তানও রয়েছে। অন্যদিকে, রাজীব সাহা নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে লোকনাথের পরিবারে। তাঁর বাড়ির লোকেরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি মারা গিয়েছেন লোকনাথের বাবা। দিন দুয়েক আগেই তাঁর ঘাটকাজ করেছেন লোকনাথ। তারপরই দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে সুন্দরবন (Sundarbans) যাচ্ছিলেন। কিন্তু সমাজসেবা করতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর।

“কখনও কারও অপকার করেনি লোকনাথ। যে যখন ডেকেছে, সাহায্য করতে এগিয়ে গিয়েছে। এবারও সুন্দরবনে ত্রাণ দিতেই যাচ্ছিল। কিন্তু কী হয়ে গেল! এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।” বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের এক সদস্যা। কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন : ‘সিপিআইএমের মতো সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলানো অসম্ভব’, প্রত্যক্ষ প্রতিবাদ ফরোয়ার্ড ব্লকের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest