আর্থিক প্রতারণায় ধৃত শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখালের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত

শুধু মানিকতলা থানাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আরও বেশি কিছু থানায় রাখালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে। তাঁকে দফায় দফায় জেরার পর পুলিশ কার্যত নিশ্চিত, প্রতারণা চক্র চালাতেন রাখাল এবং ওই কাজে কিছু সহযোগীও ছিল তাঁর।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সেচ দফতরের আর্থিক প্রতারণা-কাণ্ডে অভিযুক্ত রাখাল বেরা গ্রেফতার হতেই থানায় জমা পড়ছে একের পর এক নতুন অভিযোগ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখালকে রবিবার আদালতে তোলা হয়। আর এই দিনেই মানিকতলা থানায় জমা পড়েছে ৮-১০টি নতুন অভিযোগ।

শনিবার মানিকতলা থানার পুলিশই তাঁকে গ্রেফতার করে। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাখালের বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় অভিযোগ করেন সুজিত দাস নামে অশোকনগরের এক বাসিন্দা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত চালিয়ে রাখালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : Delhi: হিন্দি বা ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বললে শাস্তি, নির্দেশ দিল দিল্লির সরকারি হাসপাতাল

শুধু মানিকতলা থানাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আরও বেশি কিছু থানায় রাখালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে। তাঁকে দফায় দফায় জেরার পর পুলিশ কার্যত নিশ্চিত, প্রতারণা চক্র চালাতেন রাখাল এবং ওই কাজে কিছু সহযোগীও ছিল তাঁর। নাম উঠে আসে চঞ্চল নন্দী নামে একজন কাঁথির বাসিন্দা-সহ আরও কয়েকজনের। পুলিশ সূত্রে খবর, চঞ্চল এখন পলাতক। তিনি সেচ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।

এদিন শুনানির শুরুতেই ধৃত রাখাল বেরার ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। আদালতকে আইনজীবী বলেন, ‘‌এই আর্থিক দুর্নীতির মামলায় একাধিক ব্যক্তির জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। সেজন্য ধৃতকে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। ধৃতকে জেরা করে আরও তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। সেজন্য ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত প্রয়োজন।’‌

সরকারি আইনজীবী পুলিশ হেফাজত চাওয়ায়, পালটা বিরোধিতা করেন রাখালের তরফের আইনজীবী। তিনি আদালতকে জানান, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। সেকারণে তাকে জামিন দেওয়ার হোক। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, রাখালকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।

আইনজীবী সওয়াল করেন, দু’‌বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য এতদিন পর কেন গ্রেফতার করা হল?‌ তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, যিনি চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন, তিনি কীভাবে, ‌কার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে, রাখালবাবু সরকারি চাকরি পাইয়ে দিতে পারেন? এর পরই উভয়পক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখে, ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

আরও পড়ুন : আবার বাড়ল Petrol-Diesel-র দাম, প্রথমবার কলকাতায় ১০০ ছুঁইছুঁই !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest