Why BJP has lost in 2021 Election? Says Suvendu Adhikari

‘আত্মতুষ্টিতেই বিজেপি হেরেছে,’ এবার শুভেন্দুর গলাতেও অন্য সুর, করলেন আত্মসমালোচনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

একুশের ভোটের ফলাফল প্রকাশের প্রায় ২ মাস অতিবাহিত। বাংলায় বিজেপি (BJP)র পর্যুদস্তের কারণ হিসাবে অনেক কথাই উল্লেখ করেছেন দিলীপ ঘোষ থেকে তথাগত রায়রা। এবার হারের অনুসন্ধান করতে গিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, আত্মতুষ্টির কারণেই হেরেছে বিজেপি।

এদিন চণ্ডীপুরে বিজেপির এক সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখেন বিধানসভার বিরোধী নেতা। সেখানে বিজেপির হারের কারণ উল্লেখ করতে শোনা যায় তাঁকে। বলেন, আত্মতুষ্টির কারণেই বিধানসভার ভোট পরাজয় হয়েছে বিজেপির। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন রাজ্যে ২৯৪ এর মধ্যে ১৭০-১৮০ সিট পেয়ে যাব, খেজুরি নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর, নন্দকুমার জিতে যাব, চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। এই আত্মতুষ্টির কারণেই আমাদের পরাজয় ঘটেছে।”

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “আপনারা অনেকে, নিজেদের প্রার্থীর সম্পর্কে খারাপ কথা বলেছেন। নিজেরা অনেকেই আত্মতুষ্টিতে ভুগেছেন। ভেবেছেন জেলায় (পূর্ব মেদিনীপুর) ১৬ টা সিট, রাজ্যে ২৯৪ সিট। ১৭০-৮০ তো হয়ে গিয়েছে। চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। নন্দকুমার তো জিতে গিছে, ভগবানপুর তো জিতে গেছে, নন্দীগ্রাম তো জিতে গেছে, আমারটা হারলে হারুক। এই করতে গিয়ে হেরেছেন।”

উল্লেখ্য, একুশের ভোটে চণ্ডীপুর বিধানসভা থেকে জয় পেয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সোহম। শুভেন্দুর কথায়, ওই কেন্দ্রে বিজেপির হারের আসল কারণ হল কর্মীদের গা-ছাড়া মনোভাব।

এদিকে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর বঙ্গ বিজেপিতে শুরু হয়েছে ভাঙন। মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যাওয়ার পর এই ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও বিষয়টিতে পাত্তা দিতে নারাজ শুভেন্দু।

তিনি বলতে থাকেন, “ভাবছেন এ চলে গেল, ও চলে গেল। এতে এতটুকু বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। মুকুলবাবু কোথা থেকে আগে জেতেননি। ২০০১ সালে জগদ্দলে প্রার্থী হয়েছিলেন হেরেছেন। আর এবার যেখানে বিজেপির লোকসভা ভোটে লিড ছিল ৫০ হাজার। ওই আসনে সহায়কের কাজ করেন এমন লোককে দাঁড় করালেও ৫০ হাজার ভোটে জিতত। সেই আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি সিনিয়র নেতার মর্যাদা দিয়ে তাঁকে দাঁড় করিয়েছিলেন।”

এর পর আরও বিস্ফোরক শোনায় শুভেন্দুকে। বলেন, “ছেলের ব্যবসা রক্ষা করে তিনি বিজেপি ছেড়েছেন, তাতে আমাদের কী?” আগামিদিনে আরও ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান করেন কর্মীদের। \শুভেন্দুর একথা শুনে অনেকে বলছেন, কাল যে শুভেন্দু নিজেই সুরসুর করে দিদির দলে ফিরবে না, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায় ? কেউ কেউ বলেছেন আসলে শুভেন্দু সেকেন্ড ইন কমান্ড হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্র দলে তিনি তা হতে পারেননি। মুকুল থাকতে তিনি পারেননি। মুকুল না থাকাকালীন পারেননি। কারণ সে জায়গা নিয়েছিলেন অভিষেক। ফলে শুভেন্দু কেবল অভিষেকের বিরুদ্ধে কুৎসা করতে গিয়ে বিজেপিকে বাংলার মানুষের থেকে রাজনৈতিকভাবে আর দূরে ঠেলে দিয়েছিল।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest