Site icon The News Nest

কুণালের বাড়িতে দেড় ঘণ্টার বৈঠকে রাজীবের, ৩৫৬ নিয়ে ফের খোঁচা শুভেন্দুকে

kunal rajib scaled

মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার পরদিনই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বাড়িতে গেলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ কুণালের বাড়িতে যান রাজীব। তৃণমূলে যোগদানের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতেই তাঁর কুণালের সঙ্গে সাক্ষাৎ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে কুণালের দাবি, নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতেই তাঁর বাড়িতে এসেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।

বৈঠক শেষে কুণাল বলেন, ‘‘মানিকতলায় রাজীব তাঁর এক আত্মীয়কে দেখতে এসেছিলেন। সেখান থেকে আমার বাড়িতে আসেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে।’’ অন্য দিকে বৈঠক শেষে রাজীব দাবি করেন, এক আত্মীয় অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। কুণাল পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ফোন করে চলে আসেন তিনি। কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। কিন্তু নেটমাধ্যমে তাঁর যে পোস্টকে ঘিরে দলবদলের জল্পনা, সেটাই ফের উস্কে দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব। তিনি বলেন, ‘‘এই বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা একটা সরকারের একমাস হয়েছে। সেখানে যদি কেউ রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চায় বা গোঁড়া সাম্প্রদায়িকতা দেখাতে চায়বা যদি সত্যিকারের ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে চায় তবে আমি সেই দলে থেকেও বিরোধিতা করব। আগামী দিনেও বিরোধী থাকব।’’

এর আগে নিজের ফেসবুক, টুইটারে এই কথাই লিখেছিলেন রাজীব। তা থেকেই ইঙ্গিত মিলছিল যে, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের বিরোধী তিনি। কারণ, শুভেন্দু সেই সময় রাজ্যে ৩৫৬ ধারা কার্যকরের মতো পরিস্থিতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। এখনও রাজীব সেই অবস্থানেই রয়েছেন বলে জানিয়ে দিলেন।

আরও পড়ুন: সংসদে ‘অসত্য’ পরিচয় দিয়েছেন নুসরত, চাপে ফেলতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি, দূরত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল

গত ৯ জুন নেটমাধ্যমে তাঁর একটি পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘সমালোচনা তো অনেক হল… মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে, কথায় কথায় দিল্লি, আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেবে না।’ সঙ্গে তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘আমাদের সকলের উচিত, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে, ‘কোভিড’ ও ‘ইয়াস’ এই দুই দুর্যোগে বিপর্যস্ত বাংলার মানুষের পাশে থাকা।’ সেই থেকেই জল্পনার সূত্রপাত। শুক্রবার সপুত্র মুকুল দলবদল করতেই ফের রাজীব তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন বলেই খবর। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়াই কুণালের বাড়িতে আসেন রাজীব। বৈঠকের কথা গোপন রাখতেই সম্ভবত কাউকে না জানিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু, কুণালের বাড়িতে রাজীব আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে যায়।

বৈঠক নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘রাজীব একজন ভ্যালুলেস নেতা। আমাদের লড়াই করার কথা। আমরা লড়াই করে যাব। আর আমরা লড়াই করে বুঝিয়ে দিয়েছি, ও ভ্যালুলেস লিডার।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গত কাল বলেই দিয়েছেন, ভোটের আগে যাঁরা গদ্দারি করেছেন, তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ প্রসঙ্গত, ২ মে ভোটে ডোমজুড় কেন্দ্রে ৪০ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষের কাছে পরাজিত হন রাজীব। তার পর থেকেই বিজেপি-র কোনও কর্মসূচিতে আর দেখা যায়নি তাঁকে।

আরও পড়ুন: তৃণমূলে ফিরেই ‘খেলা শুরু’ মুকুলের, বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ককে ফোন

Exit mobile version