Ruman Sultana who got the highest number in Higher Secondary examination is announced

‘কন্যাশ্রী’-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে চলেছেন রুমানা, সংবর্ধনা দিয়ে ঘোষণা মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অতিমারী আবহে উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondary Examination) প্রথম স্থানাধিকারী কান্দি রাজা মনীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা সুলতানাকে জেলায় কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হতে পারে বলে প্রস্তাব দিয়েছেন জেলাশাসক। শুক্রবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম রুমানাকে ও রাজ্যে সম্ভাব্য অষ্টম স্থান অধিকারী প্রীতম চক্রবর্তী কে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানেই রুমানাকে জেলায় কন্যাশ্রীর ব্র্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সংবর্ধনার কারণে সকালেই জেলাসদরে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে বহরমপুরে এসেছিলেন রুমানা। তাঁকে সংবর্ধিত করে জেলাশাসক বলেন, “মুর্শিদাবাদের নাম উজ্জ্বল করে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন এক কন্যাশ্রী, যোদ্ধা ছাত্রী। তাঁকে কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার করা হবে। এই কন্যাশ্রীর প্রথম হওয়ার বিষয়টি জেলার অন্যান্য ছাত্রীকেও উৎসাহ জোগাবে। এটা আমাদের গর্বের বিষয়।” মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে সবরী রাজকুমারও রুমানা এবং প্রীতমের মেধার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলার নাম আগেও উজ্জ্বল হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। এই দুই কৃতী ছাত্রছাত্রীর জন্য আমরা গর্বিত। তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হল।”

আরও পড়ুন:  মাসের শেষ দিনে আর Ration বিলি নয়, এবার নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্য সরকারের

কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে তাঁর নাম জেলাশাসক ঘোষণায় খুশি রুমানা। তিনি বলেন, ‘‘আমার এই সাফল্যে জেলার অন্য ছাত্রীরাও উৎসাহ পাক, এটাই চাই।” আগামী দিনে বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। অন্য দিকে, এই জেলা থেকেই ভাল ফল করেছেন প্রীতম। তিনি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই।’’

রুমানাকে জেলার কন্যাশ্রী ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার প্রস্তাবের মধ্যে আসলে ‘রাজনৈতিক পদক্ষেপ’ বলেই মনে করছে বিজেপি। কারণ, এর আগে, জেলায় কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতে এভাবে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি বলেই দাবি বিরোধীদের। জেলার বিরোধী বিজেপি দলনেতা তপন চন্দ্র বলেন, “মুর্শিদাবাদে ৭০ শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু। তাহলে কি মুসলিম বলেই রুমানাকে এই সম্মান দেওয়া হল? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সরকার আসলে শিক্ষা নিয়েও রাজনীতি করছে।” যদিও, তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত জেলাশাসক নিয়েছেন। এরফলে জেলার পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়বে। সার্বিকভাবে জেলার উন্নতি হবে।

আরও পড়ুন: ভোটের পর দিল্লিতে Modi-Mamata প্রথম সাক্ষাৎ, দিনক্ষণ নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest