দিলীপ ঘোষের বৈঠকে গরহাজির বনগাঁর সাংসদ ও ৩ বিধায়ক, তবে কি অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বাঁকুড়া, হেস্টিংসের পর এবার বনগাঁ (Bongaon)। ফের বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় গরহাজির একাধিক নেতা, বিধায়ক ও সাংসদ। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বৈঠকে কেন যোগ দিচ্ছেন না নেতারা, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

শুক্রবার দুপুরে বনগাঁয় গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। উদ্দেশ্য একটাই, বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করা। গুরুত্বপূর্ণ সেই বৈঠক নিয়েই বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। কারণ, সেই বৈঠকে দেখা মিলল না বনগাঁ মহকুমার বিজেপি (BJP) বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। বিধায়ক, সাংসদদের পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলকেও।

আরও পড়ুন:ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে, মুকুলকে পাশে বসিয়ে সদর্প ঘোষণা মমতার

কেন বৈঠকে যোগ দিলেন না, সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। তিনি বলেন, “শরীর অসুস্থ। সর্দি-কাশি জ্বর হয়েছে। সে কারণে যাওয়া হল না।” বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও শারীরিকভাবে অসুস্থ। কলকাতায় চিকিৎসা করাতে যাওয়ার ফলে ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বলেই জানান। তবে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। দুই বিধায়ক বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ উল্লেখ করলেও তা মানতে নারাজ অনেকেই। কেন তাঁরা যোগ দিলেন না বৈঠকে, বারবার সেই প্রশ্ন উঠছে। তাঁরাও কি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন, ইতিমধ্যে সে জল্পনাও মাথাচাড়া দিয়েছে।

বৈঠকে অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ নিয়ে জল্পনায় জল ঢেলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বেশ কৌশলী জবাব দিয়েছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “সকলকে ডাকা হয়েছিল৷ আমাদের বহু কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত। ওঁরা তাঁদের পাশে রয়েছেন। সেবামূলক কাজ করছেন।” CAA নিয়ে বারবারই দলের সঙ্গে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গলায়। তিনি কেন বৈঠকে যোগ দিলেন না, সে বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, “কেন তিনি আসেননি, কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে শুনেছি সাংসদ দিল্লি গিয়েছেন।”

অনেকে বলছেন আসলে মিডিয়ার সামনে আস্ফালন করতে দিলীপ ভালো পারেন। কিন্তু নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা তাঁর নেই। দলের ভিতরে নিজেকে অন্যের থেকে বড় প্রমাণ করতেই তিনি সবথেকে বেশি পরিশ্রম করেন। গোবলয়ের রাজনিতির দাবাং মার্কা ভূমিকা বাংলায় চলে না। দিলীপ তা বুঝতে না পারলে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলীদের নিয়ে গড়ে তোলা দল সংগঠন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে। মনে করছেন অনেকে।

আরও পড়ুন: শোনো কমরেড শোনো…এই সিপিমের ইতিকথা !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest