কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল শুভেন্দু অধিকারীকে।কাঁথির সমবায় ব্যাঙ্কে দীর্ঘ দিন ধরে চেয়ারম্যান ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু কাঁথিই নয়। পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির মাথাতেই রয়েছেন শুভেন্দু। চলতি মাসেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে কাঁথি সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরানো হল।
দীর্ঘদিন চার মাস কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান অনুপস্থিত, ফলে গ্রাহক পরিষেবা ব্যহত হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুবাবুকে সরাতে বিশেষ বৈঠক করেন ডিরেক্টররা। সিদ্ধান্ত হয় চেয়ারম্যান পদ থেকে বিরোধী দলনেতাকে সরানো হবে। এই মর্মেই প্রস্তাব পাস হয়। বর্তমানে কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান চিন্তামনি মণ্ডল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন বলে এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের তরফে এক ডিরেক্টর আলেম আলি খান বলেন, “হাইকোর্টে সমবায় মামলায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের পক্ষেই রায় দিয়েছে আদালত। ব্যাংকের ১৯ জন ডিরেক্টরের মধ্যে মোট ১৫ জনের ভোট দানের অধিকার রয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক ডিরেক্টরের। ফলে এ দিনের বিশেষ বৈঠকে ভোট দেন ১৪ জন। তার মধ্যে ১০ জন ডিরেক্টরই ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর অপসারণের পক্ষে ভোট দেন। এরপরই সর্ব সম্মতিক্রমে রেজুলেশের ভিত্তিতে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে অপসারণ করা হয়েছে।”
মঙ্গলবার ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির জরুরি বৈঠক বসে। তাতে আলোচনা হয়, দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতিতে ব্যাঙ্কের স্বাভাবিক পরিষেবা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সেই কারণেই এই অপসারণ।
শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তাঁর কথায়, “শুভেন্দু বাবুর উচিত ছিল অনেক আগেই পদত্যাগ করা। কিন্তু তিনি তা করেননি। পদের জন্য শুভেন্দু অধিকারী সব জায়গায় ছুটে বেড়িয়েছেন। আজ প্রমাণ হয়ে গেল ব্যাংকের পরিচালন কমিটির সিংহভাগ ডিরেক্টরই তাঁর পাশে নেই।”
আরও পড়ুন: Tom Cruise: টম ক্রুজ এলেন আশা ভোঁসলের রেস্তরাঁয়, পছন্দ করে খেলেন দু’প্লেট চিকেন টিক্কা মশলা