জাপানের জাতীয় ফল ‘পার্সিমন’ এবার কাঁকসার জঙ্গলমহলের মাটিতে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। আর সেই কথাকেই সত্যি করে দেখাল কাঁকসার প্রত্যন্ত গ্রামের এক যুবক। নিজের বাগানের সাড়ে তিন বিঘা জমিতে কাশ্মীরি আপেল,পার্সিমন ( জাপানের জাতীয় ফল ), সারা বছরের কুল, পেয়ারা, কাঁঠাল সহ বিভিন্ন দেশী ও বিদেশি ফল বাগানে চাষ করে তাক লাগাচ্ছেন কাঁকসার বিষ্ণুপুরের হরিসাধন গড়াই। প্রায় তিন-চার প্রজাতির আপেল গাছ আছে তাঁর বাগানে ৷

আরও পড়ুন : ইনডোর প্লান্টে কতটুকু আলো ও জল দেওয়া দরকার? জানুন বিস্তারিত

রায়ায়নিক সারের ব্যবহার নয় বরং গাছের ফলনের জন্য জৈব সারের উপরই তিনি ভরসা রেখেছেন ৷ পার্সিমান হোক বা কাশ্মীরি আপেল সবই শীতপ্রধান দেশের ফল ৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মতো জায়গায়, যেখানে আবহাওয়া সর্বদাই খামখেয়ালিপনা দেখায় , সেখানে এই ধরনের ফল ফলানো সত্যিই অবাক করা ৷

এপ্রসঙ্গে হরিসাধন গড়াই জানালেন, দীর্ঘ দিনের ইচ্ছা ছিল নিজের একটি বাগান হবে ৷ যেখানে দেশী-বিদেশি বিভিন্ন ফলের গাছ থাকবে ৷ সেই ইচ্ছে বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে । আপেল চাষ বিকল্প পদ্ধতিতে করা হয়েছে ড্রামের ভিতর। অন্যদিকে পার্সিমান চাষের জন্য মাঝেমধ্যে ঠান্ডা জলও দিতে হয় গাছগুলিতে ৷ এছাড়াও পান, বেদানা, লেবু নানারকম ফলেরও চাষ করা হয়েছে ৷

যুবকের এই স্বনির্ভর হওয়ার উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন কাঁকসা ব্লকের কৃষক সেলের সভাপতি গিরিধারী সিনহা ৷ তিনি বলেন, ” এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর হওয়ার কথা জানাচ্ছেন। অন্যদিকে এই যুবকের উদ্যোগ অন্যান্য যুবকদেরও স্বনির্ভর হওয়ার পথে প্রেরণা জোগাবে ৷ যেকোনও সমস্যায় কৃষি দফতর যুবকের পাশে আছে ৷ ”

আরও পড়ুন : টবে অ্যালোভেরা চাষ করার পদ্ধতি জেনে নিন…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest